ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেয়ায় নোবেলের জন্য মনোনীত ‘বিডিএস’

২০১৮ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য 'দখলদার বিরোধী বৈশ্বিক আন্দোলন' (Boycott Divestment and Sanctions-BDS) -কে মনোনীত করেছেন নরওয়ের একজন সংসদ সদস্য। এ আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে ইসরায়েলকে বয়কটের জন্য বিশ্বব্যাপী আন্দোলন গড়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, পঞ্চাশের দশক থেকেই ইসরায়েল আরব বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল দখল করে আছে।

রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান নরওয়ের সংসদ সদস্য জুরিনার মোক্সনেস। বিবৃতিতে তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েলের কবল থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রদর্শন করে ‘বিডিএস’কে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। আর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে ন্যায়বিচার ও মর্যাদা অর্জনের জন্য।

বিবৃতিতে জুরিনার মোক্সনেস আরো বলেন, শুধু ফিলিস্তিন নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের সকল মানুষকে শান্তিপূর্ণ জীবন উপহার দেয়ার জন্য আমরা সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে সে বিষয়টি শক্তিশালীভাবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে ‘বিডিএস’কে এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ বিরোধী অহিংস আন্দোলনে উদ্বুব্ধ হয়ে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় Boycott Divestment and Sanctions। মাত্র ১১ বছরে এ সংস্থাটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়।

ইসরায়েলের আগ্রাসনের মুখে থাকা অসহায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়ায় বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে বিডিএস। প্রায় ৫০টি দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন, সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় সংগঠন ও গির্জাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার আন্দোলনের সমর্থন লাভ করেছে।

বিডিএস ফিলিস্তিনে জমি দখল করে ইসরায়েলের অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণ এবং দেশটির সরকারের বর্ণবাদী আচরণের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের এসব কর্মকাণ্ডের প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের অন্ধ সমর্থনের ঘোরতর বিরোধিতা করে আসছে।

নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, সাম্য ও শান্তির দাবিতে আন্দোলন করছে এই সংস্থাটি। সেই সঙ্গে ফিলিস্তিন বিষয়ক সব আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগ্রাসী ইসরায়েলের ওপর চাপ জোরদারে বিশ্ব নেতাদের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছে বিডিএস।