ফের গোলাগুলি, ক্যাপ্টেনসহ ৪ ভারতীয় সেনা নিহত

জম্মু ও কাশ্মির সীমান্তে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাবর্ষণে ৪ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। রোববার জম্মু ও কাশ্মিরের রাজৌরি জেলার লাইন অব কন্ট্রোলে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ক্যাপ্টেন কপিল কুণ্ডু (২২), রাইফেলম্যান রমভতর (২৮), সুবহাম সিং (২২) ও হাবিলদার রৌশান লাল (৪২)। খবর এনডিটিভির।

পাকিস্তানের হামলায় নিহত তিন ভারতীয় সেনা

এ ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কাশ্মিরের ওই জেলার ৮০টি স্কুল বন্ধ দেয়া হয়েছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর দাবি, পাকিস্তান বিনা উস্কানিতে মাঝারি ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি এবং মর্টারশেল নিক্ষেপ করে। যুদ্ধবিরতি লংঘন করে পুঞ্চ ও রাজৌরি সীমান্তে ভারতীয় সেনাঘাঁটিতে পাকিস্তান ভারি গোলাবর্ষণ করে। গুলিতে পুঞ্চতে এক কিশোরী ও এক সেনা সদস্য আহত হন। পরে তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

এ নিয়ে গত তিন দিনের মধ্যে পুঞ্চতে পাকিস্তান দু’বার হামলা করল। গত সপ্তাহেও তারা বালাকোট সেক্টরের ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং গ্রাম লক্ষ্য করে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি এবং মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছিল।

এদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, রোববার জম্মু ও কাশ্মির সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে এক তরুণী ও এক কিশোর নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অন্তত ৬ জন স্থানীয় বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

নিহত ক্যাপ্টেন কপিল কুণ্ডু

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতীয় বাহিনী বিনা উস্কানিতে হ্যাভেলি জেলার নিজাপীর সেক্টরের গ্রামবাসীকে লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করার পর তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হয়েছে।

হ্যাভেলি জেলার ডেপুটি কমিশনার কাশিফ হুসাইন পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডনকে বলেন, রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল চারটার মধ্যে ভারতীয় বাহিনী এসব গোলা ও মর্টারশেল নিক্ষেপ করে। জাকরের ১৬ বছর বয়সী ছেলে রাফাকাত আখৌরি বালা গ্রামে গরু চরাতে গিয়ে ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণে প্রাণ হারান। এছাড়াও কোটলি জেলার কয়েকটি গ্রাম লক্ষ্য করে ভারতীয় বাহিনীর মর্টারশেল নিক্ষেপ করে। এতে প্লানি গ্রামের মুহাম্মদ সাদিকের মেয়ে তাসলিম বেগম (২৫) নিহত হন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ও ২২ জানুয়ারি জম্মু এলাকায় ভারতীয় বাহিনীর গোলাবর্ষণে পাকিস্তানের আট বেসামরিক নাগরিকসহ ১৪ জন নিহত হন।

সূত্র: এনডিটিভি