মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারি, সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক

এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপে উচ্চ আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এদিকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমকে আটক করেছে পুলিশ। আদালতে আটকে আছেন প্রধান বিচারপতিসহ অনেক বিচারক।

রাজনীতি সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায়কে বিরোধী শিবির ও আন্তর্জাতিক মহল ঐতিহাসিক বললেও নাখোশ হন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন।

গত কয়েকদিনের অস্থিরতার মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় জরুরি অবস্থা জারি করেন আবদুল্লাহ ইয়ামিন। এরই মধ্যে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের জড়িত থাকার অভিযোগে তার সৎ ভাই ও সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুমকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের দপ্তর থেকে জরুরি অবস্থা জারির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তার মুখপাত্র ইব্রাহিম মুয়াজ আলি বলেন, সংবিধানের ২৫৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৫ দিনের জন্য সারাদেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে এটি কর্যকর হবে।

এদিকে মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হুসনু আল সুদ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ফলে প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতিরা আদালত থেকে বের হতে পারছেন না। তারা ভেতরে আটকে রয়েছেন। আটকে থাকা বিচারকদের খাবার ও পানীয় সরবরাহ করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

চলতি মাসের গত সপ্তাহে মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি রায় দেন। রায় অনুযায়ী নির্বাসিত সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদসহ সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক বিরোধীদলের ৯ জন নেতাকে মুক্তি দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইয়ামিনের দলের বহিষ্কৃত ১২ জন আইনপ্রণেতাকে স্বপদে বহাল করতে হবে।

প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের সরকার উচ্চ আদালতের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পেছনে প্রধান দুটি কারণ রয়েছে, যার একটি হল- ওইসব বিরোধী নেতাকে মুক্তি দিলে বড় ধরণের রাজনৈতিক ঝুঁকির মুখে পড়বে সরকারি দল। অন্যটি বহিষ্কৃত ১২ জন আইনপ্রণেতাকে ফিরিয়ে নেয়া হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে ক্ষমতাসীনরা।