দুর্ঘটনায় আহত 'স্ত্রী'র কোনো খবর নেননি মোদি!

মারাত্মক দুর্ঘটনায় আহত স্ত্রী যশোধাবেনের কোনো খবর নেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ করেছেন যশোধাবেনের ভাই অশোক। কয়েকদিন আগে বড় ধরণের দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান যশোধাবেন। দুর্ঘটনায় এক জনের মৃত্যু হলেও গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

বেশ কয়েক দিন চিকিৎসা শেষে স্বাস্থ্যের উন্নতি হলে যশোধাবেনকে বাড়িতে নেয়া হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে স্ত্রীর খবর নিতে মোদি একটা ফোন পর্যন্ত করেননি।

ভারতের রাজস্থানে যশোদাবেনের গাড়ির সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও পরিবারের এক সদস্য প্রাণ হারান। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে যশোদাবেনের ভাই অশোক জানান, তার বোন এতো বড় দুর্ঘটনার পরও স্ত্রীর কোনো খবর নেননি মোদি।

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যশোদাবেনের বিয়ে হলেও সংসার করা হয়ে ওঠেনি। তবে বিয়ের কথাটি মোদি কখনও স্বীকার করেননি। তাদের মধ্যে কোন ধরণের যোগাযোগও নেই। তবে মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর স্ত্রী হিসেবে যশোদাবেন আইনি নিরাপত্তা পাচ্ছেন। বর্তমানে গুজরাটের মেহসানায় ভাই অশোকের কাছেই থাকেন তিনি।

অশোক বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী কিংবা তার দপ্তর থেকে তাদের কাছে কোনো ফোন কল পর্যন্ত আসেনি। হাসপাতাল থেকে যশোদাবেনকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অশোক আরও বলেন, 'কেউ খোঁজ নেয়নি। গুজরাট সরকার থেকেও কোন খোঁজ নেয়া হয়নি।' তবে দুর্ঘটনার সময় রাজস্থান সরকার যশোদাবেনের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলো বলেও জানান তিনি।

যশোদাবেন গুরুতর আহত হওয়ার পর মোদির দল বিজেপিও কোন ধরণের খোঁজ নেয়নি। দলটির নেতাদের কাছে খবর জানতে চাইলে ‘‌প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বলে কথা’ বলে এড়িয়ে গেছেন।

দুর্ঘটনার দিন ভারতের পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখছিলেন মোদি; তখন রাজ্যসভায় বিরোধী দল কংগ্রেস নেত্রী রেণুকার হাসি নিয়ে কটাক্ষ করায় তাকে সমালোচনাও শুনতে হয়েছিল।

বিরোধীরা বলছে, মোদি নিজের স্ত্রীকেই সম্মান দিতে জানেন না। তিনি অন্য নারীদের কী করে সম্মান দেখাবেন? এর জবাবে সরকারি দল বিজেপি বলছে, এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বিষয়। তা নিয়ে ‘রাজনীতি করা’ উচিৎ নয়।