মুহুর্মুহু বোমায় কেঁপে উঠলো ইদলিব, তুরস্কের হুঁশিয়ারি

সিরিয়ার সর্বশেষ বিদ্রোহী অধ্যূষিত অঞ্চল ইদলিবে মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে ইরানের রাজধানী তেহরানে শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এক বৈঠকে মিলিত হন। ত্রিপক্ষীয় এ বৈঠকে ঐক্যমত হতে ব্যর্থ হওয়ার পরদিনই মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণে কেঁপে উঠলো ইদলিব।

শনিবার ব্রিটেন ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়ান এবং সিরিয়ান যুদ্ধবিমান খান চেখোন শহরসহ উত্তর হামা ও ইদলিবের অন্যান্য গ্রামের ওপর ৬৮ বারের বেশি বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে বহু বাড়িঘর ধসে পড়েছে এবং দুই শিশু ও এক নারীসহ ৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সেখানে চরম মানবিক বিপর্জয় দেখা দিয়েছে।

এদিকে, সিরিয়ায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি দেখে আঙ্কারা বসে থাকবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। শুক্রবার সিরিয়া ইস্যুতে তেহরানে ইরান এবং রাশিয়ার নেতাদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের একদিন পর এ হুঁশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন তিনি। একাধিক টুইট বার্তায় এরদোয়ান বলেন, রাশিয়ান এবং সিরিয়ান বিমান হামলার ফলে বেসামরিক মানুষের জীবন সন্ত্রাসীদের খেলনার বিষয়ে পরিণত হচ্ছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যার ঘটনা যদি পুরো বিশ্ব না দেখার ভান করে বসে থাকে, তবুও আমরা এরকম একটি খেলার সঙ্গে নিজেদের জড়াবো না অথবা পাশে বসে শুধু সেটা দেখেও যাবো না। তিনি বলেন, সিরিয়া যুদ্ধের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান, শরণার্থী প্রত্যাবাসন এবং স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করার জন্য তুরস্ক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, ইদলিবে ৩০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে; যার অর্ধেকের বেশি এখন বাস্তুচ্যুত। বিদ্রোহী অধ্যূষিত এই প্রদেশটি হস্তগত করতেই রাশিয়া এবং ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অন্যদিকে, তুরস্ক সিরিয়ার কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সমর্থন দিচ্ছে; যারা আসাদ সরকারের পতন চায়।