ডি ককের সেঞ্চুরি, পাকিস্তানের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই

জোহনার্সবার্গে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের ফল শেষ পর্যন্ত কী হয় তা বলা মুশকিল। আর দলটা যেহেতু পাকিস্তান, তাহলে তো কথাই নেই। হারলেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হবে পাকিস্তানকে। আর এড়াতে চাইলে পাকিস্তানকে শেষ দুইদিনে করতে হবে ২২৮ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট।

স্বাগতিকদের দেওয়া ৩৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে পাকিস্তান। জয়ের জন্য চতুর্থদিনের খেলা শুরু করবেন আসাদ শফিক (৪৮) ও বাবর আজম (১৭)।

প্রোটিয়াদের ৩৮১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু পায় পাকিস্তান। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি দুই ওপেনার। ৬৫ বলে ৩৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন ৬৬ বলে ৩৭ রান করা আরেক ওপেনার শান মাসুদও। এই দুই ওপেনারকেই সাজঘরে ফেরান ‘স্টেইনগ্যান’ খ্যাত ডেল স্টেইন।

পরে ওলিভারের বলে আজহার আলিও দ্রুত ফিরে গেলে বেশ চাপে পরে পাকিস্তান। তবে চাপটা ভালোভাবেই সামলে নেন আসাদ শফিক ও বাবর আজম।

মোটামুটি ওয়ানডে মেজাজেই ব্যাটিং করেছেন আসাদ শফিক। ৪৭ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। ১৭ রানে তার সাথে আছেন বাবর আজম। এই যুগলের ব্যাটিং নৈপূণ্যে আর কোন উইকেট না হারিয়েই ১৫৩ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে পকিস্তান। পাকিস্তান আদৌ হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারবে কিনা তা নির্ভর করছে অজেয় থাকা এই দুই ব্যাটসম্যানের উপর।

এর আগে তৃতীয়দিনের শুরুতে ব্যাটিং করতে নামেন প্রোটিয়া দুই ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা ও ডি কক। সাবধানী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথেই হাঁটছিলেন হাশিম আমলা। তবে সরফরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সে স্বপ্ন ভেস্তে দেন হাসান আলি। ৭১ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় হাশিম আমলাকে।

হাশিম আমলা সেঞ্চুরি না পেলেও পেয়েছেন কুয়েন্টন ডি কক। সাদাব খানের বলে হাসান আলিকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১৩৮ বলে ১২৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান। ইনিংসটিতে ছিলো ১৮টি চার ও একটি ছক্কার মার। শেষ পর্যন্ত ৩০৩ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ ও সাদাব খান।