জিম্বাবুয়ের সর্বনাশ, কপাল খুলল নাইজেরিয়া ও নামিবিয়ার

অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থকে জিম্বাবুয়েকে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। দেশটির ক্রিকেটে রাজনৈতিক ও সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে কঠিন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুইয়ানদের ভাগ্যে কী আছে সেটা জানার জন্য আগামী অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

অবশ্য তিন মাস পর জিম্বাবুয়ের বিষয়ে আইসিসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেও এর মধ্যে দেশটির ক্রিকেটের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে জিম্বাবুইয়ান নারী ক্রিকেটাররা অংশ নিতে পারছে না আইসিসির ক্রিকেট ডেভেলপমেন্ট ট্যুরে। এবার দুঃসংবাদ এলো নারী, পুরুষ দুই ক্রিকেটেই।

আগামী অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ে অংশ নিতে পারবে কিনা তা নিয়ে ঢের সংশয় ছিল। অবশেষে শঙ্কাটাই বাস্তবে পরিণত হতে যাচ্ছে। ২০২০ সালের কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের সমাধী হয়ে গেল জিম্বাবুয়ের। মঙ্গলবার আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে বাছাইপর্বে খেলতে পারবে না তারা।

বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ের শূন্যস্থান আইসিসি পূরণ করতে যাচ্ছে দুই দল দিয়ে। জিম্বাবুইয়ানদের কপাল পোড়ায় খুলে গেছে নাইজেরিয়া ও নামিবিয়ার স্বপ্নের দুয়ার। এই দুটি দল আরব আমিরাতে বিশ্বকাপের মূলপর্বের টিকিটের জন্য লড়বে। সবমিলিয়ে এবারের বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দল। তন্মধ্যে আফ্রিকারই তিনটি দল।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং, আয়ারল্যান্ড, জার্সি, কেনিয়া, নামিবিয়া, নেদারল্যান্ডস, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি, স্কটল্যান্ড, নাইজেরিয়া, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকার দুটি দল। এই মাসের শেষ দিকে সূচি ও সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে।

ছেলেদের মতো জিম্বাবুয়ের নারীরাও বাছাইপর্বে অংশ নিতে পারবে না। নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব তাদেরই আয়োজন করার কথা ছিল। জিম্বাবুয়ে না থাকায় বাছাইপর্ব আয়োজন করবে স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়া।