আমেরিকাকে শিক্ষা দেওয়ার অস্ত্র প্রকাশ্যে আনলো চীন

অবশেষে গোপন থাকা তুরুপের তাস সামনে আনলো চীন। মাও সেতুং থেকে শি জিংপিং। চীনের জাতীয় দিবসের পাশাপাশি কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তি হয়েছে গত ১ অক্টোবর। সেই উপলক্ষে রাজধানী বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে জিংপিং সরকার। সেখানেই প্রদর্শিত হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইল ডিএফ-৪১।

খবরে বলা হচ্ছে, ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম এই মিসাইলটি। যা মাত্র আধা ঘণ্টায় পৌঁছে যাবে আমেরিকায়।

প্রতিবছর জাতীয় দিবসে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে আয়োজিত হয় সামরিক কুচকাওয়াজ। তবে এবার অন্যবারের থেকে অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ ছিল এই কুচওয়াজ। শি জিংপিং প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জনগণের মধ্যে থেকে নির্বাচিত কয়েকজন ব্যক্তি ও ৯৭টি দেশের সামরিক প্রতিনিধিরা।

তাদের সামনে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনী পিএলএ-এর ৫৯টি বিভাগের প্রায় ১৫ হাজার স্বশস্ত্র সেনা। ছিল ১৬০টি যুদ্ধবিমান। এ ছাড়া প্রদর্শিত হয় ৬০০-র বেশি অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামও।

যার মধ্যে প্রধান আকর্ষণ ছিল অবিশ্বাস্য গতির পরমাণু বোমাবাহী ডংফেং বা ডিএফ-৪১ মিসাইল। বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ও শত্রুদের সামরিকঘাঁটি ধ্বংস করার জন্য এত দূরপাল্লার ও শক্তিশালী মিসাইল আর নেই। একসঙ্গে ১০টি পরমাণু বোমা বহন করতে সক্ষম এই মিসাইলটি পৃথিবীর যেকোনো স্থানে আঘাত আনতে পারে।

ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, গত মঙ্গলবার এই গর্বে বলীয়ান হয়ে অন্য দেশগুলিকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং। ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর বেইজিংয়ের প্রাণকেন্দ্র তিয়ানআনমেন স্কয়ারে দাঁড়িয়ে কমিউনিস্ট শাসনের ঘোষণা করেছিলেন মাও সেতুং। ৭০ বছর পর সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চীনের ভিত্তি নড়াতে পারে, এ রকম কোনো শক্তি নেই। এমন কেউ নেই যা চীনের মানুষের অগ্রগতি ঠেকাতে পারে।’