লিবিয়া: মিশরের হুমকি ‘যুদ্ধ ঘোষণা’, বৈঠকে মার্কিন কমান্ডার

মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি লিবিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। সেই হুমকিকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গভার্নমেন্ট অব ন্যাশনাল একোর্ড (জিএনএ)। এদিকে, জিএনএ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন এক মার্কিন কমান্ডার।

জিএনএ কর্তৃক ত্রিপোলি দখল করার পর স্থানীয়দের উল্লাস

লিবিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জিএনএ ও জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) বিরোধিতা চলে আসছে। সম্প্রতি এলএনএ’র আয়ত্তে থাকা বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও শহর নিএদের দখলে নিয়ে নেয় জিএনএ। এখন জিএনএ’র নজর মিশর সীমান্তবর্তী সিরাত শহরের ওপর। যা দখল করে আছে এলএনএ।

সিরাত শহরটি লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ৪৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। মিশর সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় এতে কর্তৃত্ব স্থাপন সাংগঠনিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি

শহরটিতে জিএনএ’র অভিযান প্রসঙ্গে হুমকি দিয়ে মিশরীয় প্রেসিডেন্ট বলেন, সিরতে শহর আমাদের জন্য একটি রেড লাইন। এটি সীমান্তঘেঁষা শহর। এতে হামলা হলে মিশর সীমান্তও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমাদের সীমান্তের মর্যাদা ও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় মিশর সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করতেও প্রস্তুত।

মিশর প্রেসিডেন্টের এমন হুমকির পর সোমবার জিএনএ এক বিবৃতিতে জানায়, মিশরের এমন আচরণ প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি করছে। তাদের সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

এতে বলা হয়, লিবিয়ার অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ মূলত সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। মিশরের প্রেসিডেন্ট ও তার সমর্থনে থাকা মিলিশিয়া এবং ভাড়াটেদের এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।

এদিকে, মিশরের ওই ঘোষণার পর জিএনএ’র প্রধানমন্ত্রী ফয়েজ আল-সারাজের সঙ্গে দেখা করেছেন আফ্রিকায় থাকা মার্কিন ফোর্সের (ইউএস ফোর্সেস ইন আফ্রিকা- আফ্রিকম) এক কমান্ডার। তবে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বলেছে, তারা লিবিয়ায় কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ চায় না। বরং সকল পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান করবে বলেই তাদের প্রত্যাশা।