বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে না

অনলাইনে পুরোপুরি ক্লাস চালু হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হবে মর্মে ঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর পর এমনটাই জানিয়েছেন বিচারক অ্যালিসন ডি. বারোজ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে প্রায় ১০ লাখ বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। কিন্তু করোনাকালীন এই সময়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস চালু করে। আসন্ন শরৎকালীন সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রমও পুরোপুরি অনলাইনে চালুর চিন্তা-ভাবনা করছে সেখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

এমতাবস্থায় গত ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) বিভাগ থেকে জানানো হয়, আসন্ন শরৎকালীন সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি অনলাইনে চালু হলে, বিদেশি শিক্ষার্থীদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে। নয়তো অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে।

এ ঘোষণার পর গত ৮ জুলাই ট্রাম্প প্রশাসনের ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করে যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। পাশাপাশি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানায় সিলিকন ভ্যালির শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্য।

করোনাকালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনশূন্য ক্যাম্পাস

সেই মামলা ও চ্যালেঞ্জের জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিচারক অ্যালিসন ডি. বারোজ জানান, মার্কিন সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে। এরপরই নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মাত্র চার মিনিটেরও কম সময় ধরে চলা এ শুনানিতে সমঝোতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে দুই পক্ষই। ফলে আপাতত বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে না।

এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, শরৎকালীন সেমিস্টারের ক্লাস পুরোপুরি অনলাইনে চালু হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার ব্যাপারে বিধি-নিষেধ নিয়ে আগামীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারির পরিকল্পনা রয়েছে।