কাদের: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বর্তমান সরকার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি তাদের দ্রুত কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নোয়াখালীর ভাসনচরে পুনর্বাসনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের- ফাইল ছবি

আজ মঙ্গলবার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কুমিল্লা সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হন সেতুমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সরকার যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তা অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উদারতা ও মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন, তা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা- ফাইল ছবি

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, একদিকে যেমন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরাদার করা হয়েছে, অন্যদিকে তাদের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে দ্রুত নোয়াখালীর ভাসনচরে পুনর্বাসনের প্রস্তুতি চলছে। রোহিঙ্গা সংকটের কারণে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে পর্যটন খাতেও।

এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে দেশটির ওপর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের জন্য আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহ কমে যায়, তাহলে অতিরিক্ত ১১ লাখ মানুষের বোঝা বাংলাদেশ কীভাবে বহন করবে? তাই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।

গণপরিবহনের ভাড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকসহ স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা সভা করেছে বিআরটিএ। পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং জনস্বার্থে গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া বাতিল করতে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। সরকার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

সরকার শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, গণপরিবহনে যাত্রী-চালকসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক শতভাগ মাস্ক পরিধান করতে হবে। এছাড়া কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবে না। যতগুলো আসন রয়েছে ততজন যাত্রীই নিতে হবে। এ বিষয়েও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।