এরদোয়ান: লিবিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি 'বিশ্বাসযোগ্য' নয়

শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সকল অঞ্চলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে লিবিয়ার দুই পক্ষ। তবে এটিকে 'বিশ্বাসযোগ্য' মনে হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান

শুক্রবার ইস্তাম্বুলে জুমার নামাজের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতির এই চুক্তি সরকারের উপর মহল থেকে করা হয়নি। তাই এটিকে 'বিশ্বাসযোগ্য' মনে হচ্ছে না। সময়ই বলে দেবে এ চুক্তি কতদিন বজায় থাকে।

এর আগে শুক্রবার লিবিয়ায় অবস্থিত জাতিসংঘ মিশনের ফেসবুক পেজ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উভয় পক্ষের সামরিক প্রধানরা। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান হতে যাচ্ছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত স্টেফানি তুরকো উইলিয়ামসের নেতৃত্বে ও তার মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষকে শান্তি আলোচনায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ত্রিপোলিভিত্তিক সরকার ন্যাশনাল অ্যাকর্ড (জিএনএ) ও খলিফা হাফতারের পূর্ব-ভিত্তিক স্ব-স্টাইল্ড লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)।

লিবিয়ার যোদ্ধারা

দুই পক্ষের সামরিক প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর জেনেভায় এই চুক্তিটির সমাপ্তি হবে এবং ক্ষমতার প্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে আগামী মাসে তিউনিসিয়ায় রাজনৈতিকভাবে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে বিক্ষোভ ও গৃহযুদ্ধে লিবিয়ার দীর্ঘকালীন সামরিক শাসক মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির পদচ্যুতি ঘটে ও তিনি নিহত হন। এরপর থেকেই দেশটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। জাতিসংঘ স্বীকৃত লিবিয়ার সরকার রাজধানী ত্রিপোলিসহ পশ্চিমাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে এবং বেনগাজিকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চল দখলে নেয়।