এই মধুমাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, আনারসে বাজার সয়লাব। রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডায়াবেটিসের রোগীরা এসব ফল ইচ্ছেমত খেতে পারেন না। সাধারণত ফলটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এবং গ্লাইসেমিক লোডের ওপর রক্তে শর্করা বাড়া কিংবা কমা নির্ভর করে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যদি ৭০-এর বেশি হয় তবে তা উচ্চ মাত্রার, আর ৫৫-এর নিচে হলে কম মাত্রার।

diabetis fruits

আবার গ্লাইসেমিক লোড ২০-এর বেশি হলে উচ্চ, ১১-এর নিচে কম। উচ্চমাত্রার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রক্তে শর্করা বাড়ায়। কোন কোন ফল ডায়াবেটিস রোগীর খেতে সমস্যা নেই আসুন সেই সম্পর্কে জানি-

রোজায় ইফতারে খেজুর অত্যাবশ্যক। খেজুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স উচ্চমাত্রার আর লোডও বেশি। তাই দিনে একটার বেশি খেজুর খাওয়া ঠিক নয়।

গ্লাইসেমিক লোডের দিক থেকে আম মাঝারি মাত্রার মধ্যে পড়ে। জাতভেদে আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ভিন্ন হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ৫৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে। প্রচুর আঁশের কারণে মিষ্টি হওয়া সত্ত্বেও আম দ্রুত শর্করা না বাড়ালেও হিসাব করে খেতে হবে।

তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৭০-এর ওপর। আনারসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৫৬, যা মাঝারি মানের। কাঁঠাল শর্করা বাড়ায়, এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৬৮-এর ওপর। তবে এটি আঁশসমৃদ্ধ।

শর্করা ছাড়াও বেশির ভাগ ফলমূলে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ ও আঁশের মত অতি প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে। তাই খাদ্যতালিকা থেকে ফল বাদ দেওয়া ঠিক নয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ফলমূল খেতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণে ও সময় মেনে। ফলের মৌসুমে অন্যান্য শর্করা কমিয়ে খান। এতে ভারসাম্য আসবে। মূল খাবার গ্রহণের পরপরই ফল না খেয়ে বরং সময়টা সারা দিনে ভাগ করে নিন। একই সঙ্গে পরিমাণে বেশি কিংবা কয়েক রকমের ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

রামাদানে ডায়াবেটিস রোগীর সতর্কতা

ফলমূল কখন খাবেন, কয়টা খাবেন

ডায়াবেটিস রোগীর রোজা পালন

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে গাছের পাতা

ডায়াবেটিকস রোগীর খাবার যা হওয়া উচিত

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.