চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান

জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে জোর করে শ্রমের অভিযোগ ও উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে ইউরোপীয় সংসদে। একই সঙ্গে এসব কাজের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন আইনপ্রণেতারা।

ইউরোপীয় সংসদ

বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান সংসদে চীনের উইঘুর অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ শিবিরের ভেতর এবং বাইরে উভয় কারখানায়, বিশেষ করে উইঘুর, জাতিগত কাজাখ, কিরগিজ এবং অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর চীনা কর্তৃপক্ষের শোষণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। আর এসব কাজ থেকে উপকৃত হচ্ছে বিভিন্ন ইউরোপীয় ব্র্যান্ড এবং সংস্থা।

তাই এসব প্রতিষ্ঠানকে জিনজিয়াং অঞ্চলে এসব অন্যায়ের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি মূল্যায়ন করা এবং শ্রমিকদের বাধ্য করে কাজ করানোয় মানবাধিকারের নীতি মানছে কি না, তা যাচাই করতে অনুরোধ জানান আইনপ্রণেতারা। আর যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, তাহলে চীনের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়

একই সঙ্গে জিনজিয়াং অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ দলকে স্বাধীন পর্যবেক্ষণ পরিচালনার অনুমতি দেয়ার জন্য চীনের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে ৭ ডিসেম্বর ইইউর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থার অভিযোজনকে স্মরণ করে আইনপ্রণেতারা সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং ইউনিয়ন ফর বিদেশ বিষয়ক ও সুরক্ষা নীতির উচ্চ প্রতিনিধিদের চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গ্রহণের সিদ্ধান্ত দ্রুততার সঙ্গে মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, জিনজিয়াং প্রদেশে বেইজিংয়ের নীতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে যে, ১২ মিলিয়ন উইঘুর নাগরিককে বহিষ্কার করেছে চীন। যাদের অধিকাংশই মুসলিম।