মাস্ক পরায় কমছে যক্ষ্মা?
- Details
- by জীবনশৈলী ডেস্ক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মানুষকে মাস্ক পরায় অভ্যস্ত করে তুলেছে। এতে কমে এসেছে বাতাসবাহিত রোগ যক্ষ্মার (টিবি) মতো সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ। এমনটাই দাবি করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা পৌরসভা।
মাস্ক পরার ওপর গুরুত্বারোপ
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, করোনার মতোই হাঁচি-কাশিতে যক্ষ্মা ছড়িয়ে পড়ে। ঠিকভাবে চিকিৎসা না নেয়া একজন যক্ষ্মারোগীর দ্বারা বছরে ১৫ জন সংক্রমিত হতে পারে। এই রোগে মৃত্যুহারও বেশি।
তবে করোনাকালে লকডাউনের কারণে বেশিরভাগ মানুষই ছিল ঘরবন্দি। যারা বাইরে বেরিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই আবার মাস্ক ব্যবহার করেছেন। এতে ক্রমশ কমেছে ফ্লু, নিউমোনিয়া, হাম ও যক্ষ্মার মতো ব্যাকটিরিয়াঘটিত রোগ।
মাস্ক
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে যক্ষ্মা রোগী ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার। কলকাতায় এই সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। আর ২০২০ সালে এসে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে ৮০ হাজার ও ৯ হাজার ৯৭৫ জনে।
কলকাতা পৌর স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা থেকে বাঁচতে মানুষজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে, মাস্ক পরার কারণে যক্ষ্মাসহ সংক্রমক ব্যাধি ছড়ানো হ্রাস পেয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
বিষয়টি স্বীকার করেন বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য বলেন, মাস্কের জন্য সংক্রমণ কমারই কথা। তবে কলকাতা পৌরসভার তথ্য সংগ্রহের উপায় ও ধরনের দিকটি ঠিক আছে কি না, তাও ভেবে দেখা দরকার।
ভারতে যক্ষ্মা পরিস্থিতি
এদিকে, ভারতে যক্ষ্মায় প্রতিদিন ৪ হাজার মানুষ মারা যান বলে গত বছরের জুনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়। এমন তথ্য দিয়েছেন লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন এবং ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকরা। মহামারি মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবা খাত ব্যস্ত থাকায় আগামী পাঁচ বছরে যক্ষ্মা রোগীর ৯৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তারা।
এ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) সাবেক পরামর্শদাতা ডা. অমিতাভ নন্দী বলেন, যক্ষ্মা রোগী নিয়ে দুই ধরনের সমীক্ষা হতে পারে। একটি প্রত্যক্ষ বা ঘরে ঘরে গিয়ে শনাক্ত করা, অন্যটি পরোক্ষ বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া রোগীর হিসাব। দুই দফা লকডাউনে দুটো সমীক্ষাই ব্যাহত হয়েছে। এটি কলকাতা পৌরসভার পরিসংখ্যানে প্রভাব ফেলতে পারে।
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর