ইউরেনিয়াম উৎপাদনে ‘বড় অর্জন’ ইরানের!

এতদিন শোনা গেছে ২০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে ইরান। এবার জানা গেলো ধাতব ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে দেশটি। তবে তা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

পরমাণু স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার সেন্ট্রিফিউজ

সেখানে বলা হয়েছে, ইস্পাহানের পরমাণু স্থাপনায় ইরান ধাতব ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। এরইমধ্যে ৩ দশমিক ৬ গ্রাম তৈরিও করা হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তেহরানের পরমাণু গবেষণা চুল্লিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ধাতব ইউরেনিয়াম।

ইরানের এই তৎপরতার বিষয়ে আইএইএর সদস্য দেশগুলোকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির মহাসচিব রাফায়েল গ্রোসি। তবে এ ব্যাপারে এসব দেশের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)

এর আগে গত বুধবার একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সংস্থাটিতে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজেম গরিবাবাদি। তিনি বলেন, তেহরানের পরমাণু গবেষণা চুল্লির চাহিদা মেটাতে ‘উন্নত জ্বালানি’ উৎপাদনের ৩ ধাপের প্রাথম ধাপের কাজ শুরু হয়েছে।

কাজেম গরিবাবাদি আরো বলেন, প্রাকৃতিক ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়াজাত করে ধাতব ইউরেনিয়াম তৈরি করা হবে। এর ফলে নতুন পরমাণু জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় যুক্ত হবে ইরান।

ইরানি একপি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র

দীর্ঘ আলোচনার পর ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চুক্তি সই করে বিশ্বের শক্তিধর ছয় জাতি-গোষ্ঠী। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়ে তেহরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই চুক্তিতে ফিরতে আলোচনার কথা জানিয়েছেন। তবে ইরান বলছে, দেশটি ফিরতে চাইলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। এ নিয়ে নতুন করে কোনো আলোচনা হবে না।