হারলেও যে প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন মমতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির চেয়ে রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস অনেক বেশি ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। দলটির বিজয় এখন ঘোষণার অপেক্ষায় বলা যায়।

কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির ফলাফল নিয়ে। নন্দীগ্রাম আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলেরই এক সময়ের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ রোববার গণনার শুরুতে পিছিয়ে ছিলেন মমতা। এক পর্যায়ে তিনি আবার এগিয়ে যান।

গণনার ১৭ রাউন্ড শেষে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, ১২০০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরক্ষণেই খবর দেওয়া হয়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নন্দীগ্রামে ভোট গণনা বন্ধ আছে। এরই এক পর্যায়ে বলা হয়, ১ হাজার ৯৫৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।

এই যখন অবস্থা তখন প্রশ্ন উঠেছে হেরে যাওয়ার পর কি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

এর জবাব হলো হ্যাঁ। অর্থাৎ মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন। তবে কিছু শর্ত মানতে হবে।

ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, মমতার দল যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, সেক্ষেত্রে হেরে যাওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন তিনি। সেক্ষেত্রে মমতাকে নেত্রী নির্বাচিত করতে হবে নবনির্বাচিত বিধায়কদের। আর সেটা হলে মমতার মুখ্যমন্ত্রী হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

আরেকটি শর্ত হলো- ছয় মাসের মধ্যে মমতাকে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। যদি সেটা করা সম্ভব না হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

এ ক্ষেত্রে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো ২০১১ সালের বিধানসভার ভোটের উদাহরণ তুলে ধরে বলেছে, ওই সময়ও মমতা নিজে নির্বাচনে লড়েননি। তখন তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী। তার দল তৃণমূল জেতার পর তাকে নেত্রী নির্বাচিত করে।

পরবর্তীতে লোকসভা থেকে পদত্যাগ করেন মমতা এবং ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপ-নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী থেকে যান মমতা ব্যানার্জি। ওই সময় ভবানীপুরে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত বক্সী। তিনি পদত্যাগ করলে সেই আসলে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।