তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে চান ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা!

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ তালেবানের সঙ্গে কাজ করার পথ খুঁজছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। আফগানিস্তানে তালেবানের সঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায়, বিশেষ করে শরণার্থীদের সহায়তায় কী করা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সেসব ব্যাপারে মন্ত্রীরা স্লোভেনিয়ায় একটি বৈঠকে মিলিত হন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আফগানিস্তানে কীভাবে মানবিক সহায়তা ও সম্ভাব্য অন্যান্য সহায়তা দেওয়া যায় এবং এ ব্যাপারে তালেবানের সঙ্গে একত্রে কীভাবে কাজ করা যায়, সেসব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সিজিটিএন।

ইইউ ফরেন পলিসির প্রধান জোসেফ বরেল গণমাধ্যমকে জানান, বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল, আফগানে তালেবানদের সঙ্গে কীভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যায়। আঞ্চলিক সংকটের সমাধানে তারা তালেবানকে কিছু শর্তারোপও করতে চান।

জোসেফ বরেল

বিশেষ করে আফগানে সংহতি ও শান্তি প্রক্রিয়া যাতে অব্যাহত থাকে সে ব্যাপারে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। তবে বরেল বলছেন, তালেবানের সঙ্গে কাজ করা মানে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নয়।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো ম্যাস জানান, বৈঠকটি জার্মানির জন্য অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। জার্মানি চায় তালেবান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক হোক। মানবাধিকার বিশেষ করে নারী অধিকার সমুন্নত রাখতে হবে। আফগানিস্তানের মাটি যেন ফের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য না হয়। এসব শর্ত পূরণ করা হলে আমরা কাবুলে কূটনৈকিত প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারি।

লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন অ্যাসেলবর্ন বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া আফগানিস্তান চলতে পারবে না, এ বিষয়টি তালেবানকে মাথায় রাখা উচিত। শরণার্থীর সংখ্যা ইউরোপ যদি সীমাবদ্ধ করে দেয়, তাহলে সেটা ইতিবাচক কিংবা মানবিক কোনো সিদ্ধান্ত হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বৈঠকে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে মন্ত্রীদের অনেকেই একমত হন। তারা মনে করেন, আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে না। তবে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড আফগানদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করে।

বরেল বলছেন, আফগান থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, কেন আমরা সেখানে আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলাম। আমাদের চেষ্টা দেশটিতে কেন ব্যর্থ হয়েছে তা সবাইকে চিন্তা করতে হবে। এখন বিরোধিতা করার সময় নয়, এখন যুদ্ধপীড়িত আফগান জনগণের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।