কূটনীতিক আবিদা: রাশিয়া-চীনে নজর দিতে হবে পাকিস্তানকে

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত সৈয়দা আবিদা হুসাইন বলছেন, আফগানিস্তানের রাজনীতিতে আর যুক্তরাষ্ট্রের জায়গা নেই। দেশটি ২০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। ব্যর্থ হওয়ায় তাদের স্বার্থ শেষ হয়ে গেছে। আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ আমদানির ভয়ও আর নেই।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডানে)

৭৩ বছর বয়সী এই নারী কূটনীতিক দ্য ডনকে বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের কোনো সম্ভাবনা নিকট ভবিষ্যতে নেই। যেহেতু আমেরিকা থেকে পাকিস্তান কোনো সহায়তা পাচ্ছে না, সেহেতু তাদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কোনো দরকার নেই। পাকিস্তানের উচিত চীন ও রাশিয়ার দিকে হাত বাড়ানো।

তিনি বলছেন, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রভাব বলয় ধরে রাখার চেষ্টা করেও পারেনি। তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ফের আফগানে হস্তক্ষেপ করবে না বলেও মনে করেন তিনি।

সৈয়দা আবিদা হুসাইন

মিসেস হুসাইন ১৯৯১-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি তালেবানকে মডারেট হিসেবে দেখতে চান। তিনি বলছেন, তালেবানের উদারনীতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিক আফগানিস্তান। তাহলে বিশ্ব তাদের সঙ্গে কথা বলতে, সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী হবে।

তিনি মনে করেন, তালেবান নারী অধিকারের ব্যাপারে যে আশ্বাস দিয়েছে তা তারা বাস্তবায়ন করবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের প্রতিশ্রুতিও তাদের রক্ষা করা উচিত।

আবিদা হুসাইনের স্বামী ফখর ইমাম ইমরান সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য। আবিদা মনে করেন, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর দেশটি থেকে পাকিস্তানের ক্ষতিকর হওয়ার কোনো কিছু হওয়ার আশঙ্কা নেই। আফগান থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ আমদানিরও কোনো শঙ্কা নেই।

তিনি তেহরিক ই তালেবানের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ সংগঠনটি দু’দেশেই রয়েছে এবং তারাও তালেবানের কাছের লোক। সুতরাং এনিয়ে পাকিস্তান সরকারের ভয়ের কোনো কারণ নেই।

আবিদা হুসাইনের লেখা একটি বিখ্যাত বই রয়েছে। বইটির নাম ’এ পলিটিক্যাল অডিসি অব এ পাকিস্তানি উইম্যান’। বইটির প্রেক্ষাপট আইয়ুব খান থেকে বেনজির ভুট্টোর শাসনামল।