ভারতের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক চায় তালেবান

তালেবান সরকার বলেছে, ভারত এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ দেশ এবং আমরা তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আফগানিস্তানের ওপর দিল্লিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ১০ নভেম্বর। ওই সম্মেলনে দেশ দুটির মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছিল। একেআই প্রেস।

আফগানিস্তান নিয়ে দিল্লিতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংলাপ

ওই সম্মেলনে আফগানিস্তানের কোনো প্রতিনিধি অংশ নেয়নি। তবে সম্মেলনের ব্যাপারে কথা বলেছেন তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাতের নীতি অনুসারে এর ভূমি কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না এবং তালেবান পারস্পরিক সহযোগিতা চায়।

মুজাহিদ বলেন, যদিও আমরা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলাম না, তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সম্মেলনটি আফগানিস্তানের জন্য ভালো ছিল। কারণ সমগ্র অঞ্চল বর্তমান আফগান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিচ্ছে।অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকেও নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি ও সুরক্ষার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। তালেবান সরকার নিজেই দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ

সংবাদ সংস্থা এএনআই টোলো নিউজকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ভারতে আয়োজিত ওই সম্মেলনে উল্লিখিত সব দাবি পূরণ করেছে বলে দাবি করেছে তালেবান। ১০ নভেম্বরের ওই সম্মেলনে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল আটটি দেশের নিরাপত্তা পরিষদের সচিবদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি, বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং এর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।

সম্মেলনের পরে জারি করা একটি যৌথ ঘোষণায় আটটি দেশ জানিয়েছে, তালেবান নেতৃত্বাধীন দেশের ভূখণ্ডকে আশ্রয়, প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা বা সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। ভারত, ইরান, কিরগিজস্তান, কাজাখস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তান নয়াদিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠকে অংশ নেয়। পাকিস্তান ও চীন সংলাপ এড়িয়ে গেছে।

সম্মেলনের একদিন পরে ভারত সরকার জানায়, আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারত এখনও সড়কপথে আফগানিস্তানে গম পরিবহন করতে চায়। এজন্য পাকিস্তানের অনুমোদনও চেয়েছে। ভারত বলছে, আমরা বহু বছর ধরে আফগানদের সমর্থন দিয়ে আসছি।