তালেবানের অনুমতিতে খুলেছে জাতীয় জাদুঘর

খুলে দেয়া হয়েছে আফগানিস্তানের জাতীয় জাদুঘর। তালেবানের নতুন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুমতি নিয়ে সম্প্রতি জাদুঘরটি চালু হয়। এতে সেখানে ব্যাপক জনসমাগম হচ্ছে।

আফগানিস্তানের জাতীয় জাদুঘর

১৯৯৬-২০০১ শাসনের সময় তালেবান যোদ্ধারা জাদুঘরের মূর্তিসহ বেশ কিছু জিনিস ধ্বংস করে দিয়েছিল। কিন্তু এবার তালেবান সেই জাদুঘর খুলে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে। এতে দর্শনার্থীরাও আসছে। সেখানে উন্মুক্ত প্রদর্শনে এমন কিছু প্রত্নবস্তু রয়েছে, যা মূলত তালেবান মতাদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক। তারা এ ব্যাপারে কোনো হস্তক্ষেপ করছে না।

সম্প্রতি এএফপির একটি প্রতিনিধি দল জাদুঘরটি পরিদর্শন করে সেখানে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভীড় দেখতে পায়। দর্শকরা সেখানে আঁকা প্রস্তর যুগের মৃৎপাত্র থেকে শুরু করে প্রাচীন মুদ্রা, ধর্মীয় নিদর্শন, ধন-সম্পদ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করছেন।

মনোযোগ দিয়ে দেখছে দর্শনার্থীরা

৬৫ বছর বয়সী রহমতুল্লাহ জাদুঘর পরিদর্শনে এসে দুই হাজার বছরের পুরনো তরবারির সংগ্রহ গভীরভাবে পরীক্ষা করছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, মানুষের মধ্যে এটি জন্মগত যে, তারা তাদের ইতিহাসকে মূল্য দেয়। আমি আমার দেশের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলাম, তাই জাদুঘরে চলে এসেছি।

জাদুঘরের প্রধান কিউরেটর আইনুদ্দিন সাদাকাতের মতে, আগের মেয়াদকালে তালেবান জাদুঘরের ব্যাপারে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছিল। সে সময় তারা মধ্য বামিয়ান উপত্যকায় বুদ্ধের দেড় হাজার বছরের পুরনো বিশালাকার মূর্তি উড়িয়ে দিয়েছিল। এবার পরিস্থিতি পাল্টেছে। প্রদর্শনে যা আছে তা সীমাবদ্ধ করার কোনো চেষ্টা করা হয়নি। এর মধ্যে মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জিনিস ইসলামি ঐতিহ্যের, বাকিগুলো অন্যান্য বিষয়ের।

সাদাকাত বলেন, জাদুঘর খুলে দেয়ার পর সাধারণ জনগণ ছাড়াও তালেবান দর্শকও আসছেন। তারা মাঝে মাঝে দলবেধে জাদুঘর দেখতে চলে আসে।