আপনি পড়ছেন

করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণের মধ্যেই চীনে নতুন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শানঝি প্রদেশে ‘রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের’ ঘটনা ঘটছে। এমনকি এতে অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। তবে বিষয়টি চীনা কর্তৃপক্ষ গোপন রাখলেও তা প্রকাশ্যে এসেছে। বলা হচ্ছে, মানুষের সন্দেহ, অনিয়ন্ত্রিত ইঁদুর বা কাঠবিড়ালী জাতীয় প্রাণীর উপদ্রবের সঙ্গে এই ভাইরাসের সম্পর্ক রয়েছে। ভিশন টাইমসে লুসি ক্রফোর্ড এ তথ্য জানিয়েছেন।

hemorrhagic fever infection in chinaচীনে ‘রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের’ সংক্রমণ, ফাইল ছবি

এই শীতের শুরু থেকে শানঝির অনেক হাসপাতালে ‘রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের’ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ক্রফোর্ড জানান, একের পর এক এই রোগের প্রাদুর্ভাবের পর চীনের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাট ও কিউকিউতে খবর ছড়িয়েছে। এক টুইটে বলা হয়েছে, ‘নজর রাখো। ‘‘রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের’’ প্রার্দুভাব অনলাইনে প্রচার হচ্ছে। ভিডিওগুলোতে প্রতিবেশীদের একে অপরকে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার এবং মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।’

শানঝির শহর জিয়ানে এই প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। অনেক এলাকা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মানুষকে মধ্যরাত পর্যন্ত লাইন ধরে নিউক্লিক এসিড টেস্টের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ইতোমধ্যে শানঝির শ্যানগান জেলায় ‘রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের’ সংক্রমণ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

hemorrhagic fever infection in china 1চীনে ‘রক্তক্ষরণজনিত জ্বরের’ সংক্রমণ, ফাইল ছবি

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গত ১৮ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে শানঝির কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন করে ১০ জন সংক্রমিত হয়েছেন। আরও তিনজনের উপসর্গ রয়েছে। জিয়ান শহরে অবস্থা জটিল ও মারাত্মক। এখানকার লোকজনের জন্য নিউক্লিড এসিড টেস্ট চালানো হচ্ছে। ক্রফোর্ড বলেন, যদিও এই ভয়ানক পরিস্থিতি স্বীকার করতে নারাজ তবে এখানকার পরিস্থিতি নির্মম এবং বিভিন্ন প্লেগ রোগ ছড়াচ্ছে।

একটি অনলাইন চ্যাট অনুসারে, স্থানীয় একজন স্বাস্থ্যকর্মী জানিয়েছেন, তার হাসপাতালে ‘রক্তক্ষরণজনিত জ্বরে’ আক্রান্ত রোগীতে পরিপূর্ণ। জিয়ান শহরের সবগুলো হাসপাতালেই এই অবস্থা। কয়েকটি আবার বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। ভিশন টাইমস জানিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর রাত ২টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবো-তে ‘জিয়ান শহরে রক্তক্ষরণজনিত বহু সংক্রমণ’ ২৮০ মিলিয়ন মানুষের নজরে এসেছে।

এ ছাড়া ৪ হাজার ৪৮৩টি আলোচনা হয়েছে। চীনের জুয়ানবু হাসপাতালের স্বঘোষিত সাবেক এক কর্মচারীর বক্তব্য অনুযায়ী, এই রোগে আক্রান্ত গরীব ও দুঃস্থ মানুষগুলোকে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই সরাসরি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ ছাড়া মৃত ব্যক্তিদেরও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০০২ সালে ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া প্রযোজ্য ছিল। সরকার কেবল সরাসরি কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছিল। কোনো চিকিৎসা করা হয়নি। আক্রান্ত রোগীদেরই এই মহামারির সঙ্গে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হতো।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনে ‘রক্তক্ষরণজনিত জ্বর’ প্রতিবছরই হয়। এটি সাধারণত অক্টোবরে বাড়তে থাকে। এই জ্বর ইঁদুর বা কাঠবিড়ালী জাতীয় প্রাণী থেকে ছড়ায়। ভাইরাস বহনকারী এসব প্রাণীর কামড় বা রক্ত কিংবা প্রাণীর বিষ্ঠার সংস্পর্শে আসলে এতে সংক্রমণ হয়।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.