নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশের শীর্ষে উঠে এলো রাশিয়া

রাশিয়া এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। নিষেধাজ্ঞার ওয়াচলিস্ট সাইট ক্যাসেলাম ডটআই বলছে, রাশিয়া এখন ইরান ও সিরিয়াকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ হয়ে উঠেছে। বিবিসি।

রাশিয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফাইল ছবি

গত ২২ ফেব্রুয়ারির আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দুই হাজার ৭৫৪টি নিষেধাজ্ঞা ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে আরও ২ হাজার ৭৭৮টি নিষেধাজ্ঞা পড়ে। দেশটিতে এখন নিষেধাজ্ঞার মোট সংখ্যা ৫ হাজার ৫৩২টি। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ইরানের। দেশটির ওপর ৩ হাজার ৩৬১টি নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন রাশিয়া ইরানকে হারিয়ে দিয়েছে।

খবরে বলা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞার ২১ শতাংশ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাকী ১৮ শতাংশ নিষেধাজ্ঞা এসেছে যুক্তরাজ্য এবং ইইউ দেশগুলো থেকে। ইউক্রেনের ওপর হামলা বন্ধ করতে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

পুতিন প্রশাসনের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা

সুমি শহরতলিতে হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশু: ইউক্রেনের স্থানীয় এক সামরিক কর্মকর্তার মতে, গতকাল সোমবার গভীর রাতে সুমি শহর এবং এর আশেপাশের শহরতলিতে বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।

সুমি আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের নেতৃত্বদানকারী দিমিত্রো জাইভিটস্কি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, রাশিয়ান যুদ্ধবিমান উত্তর-পূর্ব শহরটিতে হামলা চালায়। দুর্ভাগ্যবশত, নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। হামলায় নিহত হয়েছে ১০ জনের বেশি মানুষ। বিবিসি স্বাধীনভাবে দাবিগুলো যাচাই করতে পারেনি। তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এটি কখনই ক্ষমা করব না।

তেল কিনবে না অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি কোম্পানি: অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি কোম্পানি ভিভা আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করবে। ইউক্রেনের আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে নেওয়া কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান তালিকায় তারা যুক্ত হবে।

ভিভা কোম্পানিটি শেল গ্রুপ অফ কোম্পানির অধীনে কাজ করে। তারা বলছে, রাশিয়ার হামলায় সৃষ্ট যুদ্ধ ভয়ানক হয়ে উঠেছে। আমরা আতঙ্কিত। ভিভা এনার্জি সংঘাত অব্যাহত থাকাকালীন রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়া বিশ্বের অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম রপ্তানিতে ১৩ শতাংশ অবদান রাখে। এজন্য তেলের বাজার, বিশেষ করে ইউরোপে তেলের বিকল্প উৎস খুঁজে বের করতে দেশগুলোর জন্য কঠিন হয়ে পড়ছে। সামনে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়বে।