ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করছে জার্মানি

ইউক্রেনে সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জার্মানি। দেশটির আইনমন্ত্রী মার্কো বুশমান এ কথা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার জার্মানির পাসাউর নয়ি প্রেসে পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বুশমান বলেন, ইউক্রেনে রুশ সৈন্যদের সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় জার্মানির ফেডারেল প্রসিকিউশন একটি তদন্ত শুরু করেছে।

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত করছে জার্মানি

তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের সব ধরনের আলামত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবে জার্মানি। আলামত সংগ্রহের জন্য একটি কাঠামোগত তদন্ত আরম্ভ করেছি আমরা। কার্লসরুহে শহরে অবস্থিত ফেডারেল প্রসিকিউশন অফিসের একটি সূত্র এএফপিকে তদন্ত শুরুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

কাঠামোগত তদন্তে নির্দিষ্ট কোনো সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের পরিবর্তে সন্দেহভাজন অপরাধের আলামত সংগ্রহ করা হয় এবং ওই অপরাধের কাঠামো, চেইন অব কমান্ড শনাক্ত করা হয়। সংগৃহীত আলামত পরবর্তীতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বিচারে ব্যবহার করা যায়।

জার্মানির আইনমন্ত্রী পাসাউর নুয়ি

জার্মান আইনমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেন দখল আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙঘন, যার পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইন লঙঘনের সম্ভাব্য ঘটনাগুলোর অবশ্যই ধারাবাহিক তদন্ত হতে হবে।

জার্মান সাপ্তাহিক ডের স্পিজেল জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের খবর এবং আবাসিক এলাকা, গ্যাস পাইপলাইন, পারমাণবিক বর্জ্য ভাগাড় ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার ছবি প্রকাশের পর জার্মানির প্রসিকিউটররা তৎপর হন।

এর আগে রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেন, ইউক্রেন দখলের সময় রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে- এ মর্মে ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য খবর’ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির মুখ্য প্রসিকিউটর বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত এগিয়ে যাবে।