রাশিয়া: ‘পরিস্থিতি বাধ্য করলে’ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার

পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের কোনো ইচ্ছা আপাতত রাশিয়ার নেই। তবে যদি নিজেদের অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে পড়ে বা অন্য কোনো পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়, তাহলে অবস্থান ভিন্ন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্ব প্রথমবারের মতো পরমাণু অস্ত্রের হামলার সাক্ষী হতে পারে। খবর আলজাজিরা।

রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র

গত এক মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনও সমানতালে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাচ্ছে রুশ হামলার ধরন। কিয়েভ, খারকিভের পর মারিওপল, লিভিভের মতো শহরেও লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। মারিওপলে শক্তিশালী ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বোমাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। তাতে যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই তাদের। একমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতেই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, কখনো তার দেশের অস্তিত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হলে কেবল তখনই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে মস্কো। সিএনএন টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

পুতিন ও বাইডেন

এর আগেও রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যহারের জল্পনা শুরু হয়েছিল। রুশ অভিযান চালানোর কয়েকদিনের মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সে দেশের নিউক্লিয়ার বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের নিউক্লিয়ার মিসাইল বাহিনীসহ একাধিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। শীর্ষ মহলের নির্দেশ পেলেই আক্রমণ চালাবে।

এর পরই পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনের ওপর পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের দখল, জাপরঝিড়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মিসাইল হামলা ও দখল নেওয়ার চেষ্টা সেই উদ্বেগকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ পর্যন্ত অনেকবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, হয়তো পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন পুতিন। পেন্টাগন বলেছিল, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে স্থানীয় সেনাদের প্রতিরোধ জোরদার হলে এবং রুশ সেনাদের প্রচলিত যুদ্ধ করার ক্ষমতা কমে গেলে পুতিন পাশ্চাত্যের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিতে পারেন। যদিও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশেষ পরিস্থিতিতে বাধ্য হলেই কেবল পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।