ইইউর তেল নিষেধাজ্ঞা, বেঁকে বসেছে হাঙ্গেরি-স্লোভাকিয়া

রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে ইতোমধ্যে আলোচনা তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে নিষেধাজ্ঞা কবে থেকে কার্যকর হবে, তা বলা হয়নি। এদিকে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই তেল নিষেধাজ্ঞায় একমত নয় ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি।

রাশিয়ার তেলের লাইন

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবকে সমর্থন করবে না হাঙ্গেরি। এ ব্যাপারে অনিচ্ছা রয়েছে স্লোভাকিয়ারও। এদিকে তেল নিষেধাজ্ঞায় বিরোধিতাকারীদের ‘রাশিয়ার সহযোগী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে কিয়েভ। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো বলেছেন, রাশিয়ান তেলের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞার ফলে হাঙ্গেরির জ্বালানি সরবরাহ লাইন ‘সম্পূর্ণ’ ধ্বংস হয়ে যাবে। এতে কাবু হয়ে পড়বে হাঙ্গেরির অর্থনীতি। এছাড়া অন্য উৎস থেকে প্রয়োজনীয় তেল পাওয়া ‘অসম্ভব’ হয়ে পড়বে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইইউ প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হতে হবে। কিন্তু রাশিয়ান জীবাশ্ম জ্বালানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করতে হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়ার অনিচ্ছা রয়েছে। এই অনিচ্ছা ইইউর নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে বাধার সৃষ্টি করছে।

ইইউর টার্গেট রাশিয়ান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল: ইউরোপীয় কমিশন রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের প্রধান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের সম্পদ জব্দ করার প্রস্তাব করেছে। একজন কূটনীতিক জানিয়েছেন, প্যাট্রিয়ার্ককে একটি খসড়া কালো তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে ইতোমধ্যেই ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ শত শত সামরিক কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এসব ব্যক্তিকে ইউক্রেনের সংঘাতকে সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেছে ইইউ।

তেল নিষেধাজ্ঞায় বিরোধিতাকারীরা রাশিয়ার সহযোগী: ইউক্রেন জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব দেশ রাশিয়ার তেল আমদানিতে নিষেধাজ্ঞায় বিরোধিতা করেছে তারা মূলত পুতিনের অপরাধে অভিযুক্ত।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ইউরোপে কোনো দেশ রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করলে তারাও ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়া সংঘটিত অপরাধের সাথে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ব্রিফিংয়ে কুলেবা বলেন, রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে তেল ও গ্যাসের আয় ব্যবহার করছে।