জেলেনস্কি: আগে রুশ বাহিনী প্রত্যাহার, তারপর চুক্তি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশ মস্কোর সাথে কোনো ধরনের চুক্তি মেনে নিতে পারে না, যদি রাশিয়ার সৈন্যরা দখলকৃত এলাকা না ছেড়ে যায়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সিইও কাউন্সিল সামিটে অংশগ্রহণকারীদের সাথে কথা বলার সময় জেলেনস্কি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভলোদিমির জেলেনস্কি

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার আক্রমণ থামিয়েছে। এটি ছিল সংঘাতের প্রথম পর্যায়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ইউক্রেন থেকে রাশিয়ান সৈন্যদের বিতাড়িত করা হবে। তৃতীয় ধাপে আঞ্চলিক অখণ্ডতা সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করতে অগ্রসর হবে ইউক্রেন বাহিনী।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি এমন কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি গ্রহণ করবেন না, যা রাশিয়ান বাহিনীকে তাদের বর্তমান অবস্থানে থাকতে দেবে। ‘আমরা সংঘাত চলমান থাকাটা মেনে নেব না। তা যদি মেনে নিই, তাহলে শান্তিচুক্তির নামে পূর্ব ইউক্রেনে একটি কূটনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। ২০১৫ সালে ফ্রান্স এবং জার্মানির মধ্যস্থতায় যেমনটা হয়েছিল।’

ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনাবহর

ফিনিশ আকাশসীমা লঙ্ঘন রাশিয়ার: একটি রাশিয়ান সেনা হেলিকপ্টার ফিনল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করেছে ফিনিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের বক্তব্য, ন্যাটো সদস্য পদ পেতে ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ফিনল্যান্ড। এ কারণে রাশিয়া হুমকিস্বরূপ আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে।

মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এমআই-১৭ মডেলের একটি হেলিকপ্টার ফিনল্যান্ডের প্রায় চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকে পড়ে। গত বুধবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। চলতি বছর এটি দ্বিতীয় রাশিয়ান আকাশসীমা লঙ্ঘন। গত এপ্রিলে একবার ফিনিশ আকাশসীমান লঙ্ঘন করেছিল রাশিয়া। দুবারই মূলত একই ঘটনা ঘটলো ইউক্রেনের যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কুচকাওয়াজ করবে রাশিয়া: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের বিরুদ্ধে বিজয় উদযাপনের জন্য ৯ মে দখলকৃত শহর মারিওপলে একটি সামরিক কুচকাওয়াজ করার পরিকল্পনা করছে রাশিয়া। এ অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।

কিয়েভের অভিযোগ, পুতিন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের পরিকল্পনা তদারকি করতে কৌশলগত দক্ষিণের বন্দর শহরে এসেছেন।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মারিওপল উৎসবের কেন্দ্র হয়ে উঠবে। শহরের কেন্দ্রীয় রাস্তাগুলো থেকে জরুরিভাবে ধ্বংসাবশেষ, মৃতদেহ এবং অবিস্ফোরিত অস্ত্র সরিয়ে ফেলে নিরাপদ করা হচ্ছে।