আকষ্মিক সফরে মারিওপোলে পুতিনের দুই ঘনিষ্ট সহযোগী

ক্রেমলিনের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ সের্গেই কিরিয়েঙ্কো ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আন্দ্রেই তুরচাক বুধবার ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা সফর করেছেন। রাশিয়া-স্বীকৃত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) নেতা ডেনিস পুশিলিন এক পোস্টে একথা জানিয়েছেন।

মারিওপোল বন্দরে (বাম থেকে) ডেনিস পুশিলিন, সের্গেই কিরিয়েঙ্কো ও আন্দ্রেই তুরচাক

সফরকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত দুই রাজনীতিক মারিওপোল বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় অধিবাসী, বিশিষ্টজন ও সাবেক সোভিয়েত বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

ডেনিস পুশিলিন জানান, সের্গেই কিরিয়েঙ্কো ও আন্দ্রেই তুরচাক মারিওপোলে ‘প্যাট্রিয়টিক গ্র্যান্ডমাদার’ ভাস্কর্য উম্মোচন করেন। সম্প্রতি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান শুরুর পর খারকভের দিভুরচেনস্কি এলাকার এক প্রবীণ নারী সোভিয়েত পতাকা হাতে পথে নামেন। ইউক্রেনীয় সৈন্যরা তাকে দেখতে পেয়ে পতাকার বিনিময়ে খাদ্য সামগ্রী নেওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি প্রত্যাখ্যান করেন। রুশ দুই রাজনীতিক তার সম্মানে মারিওপোলের প্রিমোরস্কি এলাকায় এ ভাস্কর্য উম্মোচন করেন।

পুশিলিন আরও জানান, দোনবাসের মুক্তাঞ্চলে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় সের্গেই কিরিয়েঙ্কো বলেছেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে ৯ মে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে ভিক্টরি প্যারেড হলেও দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে এখনই কুচকাওয়াজ সম্ভব নয়। তবে শীঘ্রই অনুকূল সময় আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রুশ সাংবাদিকদের ব্লগ থেকে জানা যায়, রাশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী সের্গেই কিরিয়েঙ্কো অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়াদিতে ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির নেতা আন্দ্রেই তুরচাক প্রশাসনের বাইরে থেকে পুতিনের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। দুই রাজনীতিকের এ সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে রুশ সরকারের শীর্ষমহল ডোনবাস অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে।

এর আগে বুধবার বিকেলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, মারিওপোল শহর রুশ বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরে স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রা ফিরে আসছে। সৈন্যরা স্থানীয় অধিবাসীদের শান্তিপূর্ণ জীবনযাত্রায় সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মারিওপোল, লুহানস্ক, দোনেৎস্কসহ ইউক্রেনের মুক্তাঞ্চলে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসছে।

তাস জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা মারিওপোলে বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অল রাশিয়ান রেসকিউ কোর ও অল রাশিয়ান পপুলার ফ্রন্ট শহরটিতে পানীয় জলের নিয়মতান্ত্রিক সরবরাহ শুরু করেছে।