হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন পোপ, প্রথমবার হুইলচেয়ারে

প্রচণ্ড হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব পোপ ফ্রান্সিস। তিনি এখন একটি হুইলচেয়ারে চলাফেরা করছেন, কারণ হাঁটুর ব্যথায় তিনি হাঁটতে পারছেন না। আজ বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বের ধর্মীয় উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সাথে একটি বৈঠকে তাকে উপস্থিত করা হয়, যেটি রোমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রথম তাকে জনসমক্ষে হুইলচেয়ার ব্যবহার করতে দেখা গেল। ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন।

হুইলচেয়ারে পোপ ফ্রান্সিস

৮৫ বছর বয়সী ফ্রান্সিস কয়েক মাস ধরে তার ডান হাঁটুতে স্ট্রেনড লিগামেন্টের সমস্যায় ভুগছেন। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি ব্যথা উপশম করার জন্য কিছু ইনজেকশন পেয়েছেন, কিন্তু তিনি হাঁটতে এবং দাঁড়াতে ব্যথার সাথে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রথমবার তিনি হুইলচেয়ার ব্যবহার করছেন।

এদিকে চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে পোপ ফ্রান্সিস রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের নেতা প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলকে ‌'পুতিনের গোলামি' না করার জন্য সতর্ক করেছেন। যুদ্ধপন্থী প্যাট্রিয়ার্কের বিরুদ্ধে তিনি সবচেয়ে জোরালো ভাষায় নিন্দা করেছেন। কারণ ইউক্রেন আক্রমণের জন্য রাশিয়ার কারণগুলোকে জোর সমর্থন জানিয়ে আসছেন প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল।

ইতালীয় দৈনিক করিয়ের ডেলা সেরার সাংবাদিকের সাথে জুমের মাধ্যমে ৪০ মিনিট কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, গত ১৬ মার্চ রাশিয়ান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলের সঙ্গে কথা বলেছেন। ‘কথোপকথোনের প্রথম ২০ মিনিট কিরিল আমাকে একটি কার্ড হাতে নিয়ে যুদ্ধের সমস্ত ন্যায্যতা সম্পর্কে পড়ে শোনান। আমি বললাম ভাই, আমরা রাষ্ট্রের আলেম নই, আমরা রাজনীতির ভাষা ব্যবহার করতে পারি না, আমরা যীশুর ভাষা বুঝি। নিজেকে পুতিনের গোলামে রূপান্তরিত করবেন না।’

পোপ বলেন, রোমে আমাদের দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি বৈঠক হয়েছে। যুদ্ধের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু এখন তিনিও সম্মত হন, ‌'আসুন থামি'। এটি যুদ্ধ বন্ধের একটি অস্পষ্ট সংকেত হতে পারে। বুধবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চ জানিয়েছে, পোপের মন্তব্য ‌হতাশাজনক। রোমান ক্যাথলিক চার্চ এবং রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের মধ্যে কোনো গঠনমূলক সংলাপ হয়নি, অথচ তা দরকার ছিল।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় প্যাট্রিয়ার্ক কিরিলও রয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে। নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবিত খসড়াটি পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রদূতদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ইইউ কমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছে, সদস্য রাষ্ট্রের বিবেচনার ভিত্তিতে নামগুলো সরিয়ে নেওয়া বা যুক্ত করা যেতে পারে। রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের মুখপাত্র ভ্লাদিমির লেগোইডা বলেছেন, যতই নির্বিচারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে, ততই শান্তিতে পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।