অস্ত্র ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ইউক্রেন

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ১১০ দিন হতে চলেছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধ থামার নাম নেই কোনো পক্ষেই। দুই পক্ষেরই ক্ষতি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে অস্ত্র কমে আসায় বেশি দুশ্চিন্তায় পড়েছে ইউক্রেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

দোনবাসের একটি স্থাপনায় রুশ হামলা

হামলার শুরুর দিকে রাশিয়া ধারণা করেছিল, খুব তাড়াতাড়িই তারা লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবে। আবার ইউক্রেন ধারণা করেছিল, পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তায় খুব সহজেই রাশিয়াকে পরাস্ত করা সম্ভব হবে। কিন্তু উভয় হিসাবই ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে। এর ফলে দুই পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।

রাশিয়া এক সাথে খুব বেশি জায়গায় হামলা না চালালেও কিছু কিছু শহরকে একেবারে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সামরিক জনবলের পাশাপাশি বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। আর এ সময়ের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে কোটিরও বেশি মানুষ। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের সহায়তায় রাশিয়াকে ভালোই জবাব দিয়েছে ইউক্রেন। ফলে সমরাস্ত্রের দিক দিয়ে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি এ পর্যন্ত তাদের তিন হাজারেরও বেশি সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।

সার্বিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় জেলেনস্কি

বেশ কিছুদিন ধরে ইউক্রেনে পাঠানো সামরিক সহায়তাগুলো রুশবাহিনীর প্রধান টার্গেটে পরিণত হয়েছে। মাঝে মধ্যেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে পশ্চিমাদের পাঠানো অস্ত্রশস্ত্র বা অস্ত্রের ডিপো ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যুদ্ধ দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় পশ্চিমাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার পরিমাণ ক্রমশই কমে আসছে।

এই মুহূর্তে মূল যুদ্ধ চলছে দোনবাসে, যা রাশিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি। ফলে রুশ বাহিনীর কাছে অস্ত্র ও যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী চলে আসছে খুব সহজেই। ইউক্রেনের এক সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, দিনে ৫০ হাজার রাউন্ড গুলি ছুড়ছে রাশিয়া, আর ইউক্রেন তার দশ ভাগের এক ভাগ।

বিদেশি সহায়তা পেয়েও রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা কুলাতে পারছেন না। আবার নতুন প্রযুক্তির যেসব অস্ত্র পশ্চিমা বিশ্ব দিচ্ছে, সেগুলো পাওয়া মাত্রই ব্যবহার করতে পারছে না ইউক্রেন। কারণ সেগুলোর জন্য প্রশিক্ষণ দরকার। ইউক্রেনের সেনারা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরই কেবল সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে।

সার্বিকভাবেই যুদ্ধের প্রধান উপকরণ অস্ত্র নিয়ে উদ্বেগে আছে ইউক্রেন। যুদ্ধ যত দীর্ঘ হবে এ উদ্বেগ তত বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।