২২ হাজার বার লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল!

ইসরায়েলের সামরিক বিমান গত ১৫ বছরে ২২ হাজারের বেশিবার লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। লেবাননবাসীর ওপর নজরদারি, নাগরিকদের ফোনকল ও মেসেজের অ্যাক্সেস এবং তাদের চলাফেরা ও বাড়ির ছবি তোলাই ছিল এসবের মূল উদ্দেশ্য। খবর মিডল ইস্ট মনিটর।

লেবাননের আকাশে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান

এয়ার প্রেসার নামের একটি সাইটে উল্লেখ করা হয়, ২০০৭ সাল থেকে লেবাননের আকাশে ইসরায়েলের ৮ হাজার ২৩১টি ফাইটার জেট এবং ১৩ হাজার ১০২টি মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল বা ড্রোনের অনুপ্রবেশ ঘটে। এগুলো গড়ে লেবাননের আকাশসীমায় সাড়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবস্থান করে। সম্মিলিতভাবে এগুলোর পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৯৮ দিন বা সাড়ে আট বছর।

২০০৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের ডিজিটাল লাইব্রেরিতে আপলোড করা ২৪৩টি চিঠি থেকে প্রতিটি বিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সময়, সময়কাল, ধরন ও গতিপথের মতো সমস্ত রাডার তথ্য সংগ্রহ করে এয়ার প্রেসার নামের ওই সাইটটি প্রতিবেদন তৈরি করে, যাতে উপরোক্ত তথ্যগুলো পাওয়া যায়।

লেবাননের আকাশে ইসরায়েলি ড্রোন

জাতিসংঘে লেবাননের স্থায়ী প্রতিনিধি নিরাপত্তা পরিষদকে (ইউএনএসসি) সম্বোধন করে লেখা চিঠি এবং তা বিশ্লেষণ করে এয়ার প্রেসার ওই প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

এয়ার প্রেসারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মূলত লেবাননবাসীর ওপর নজরদারি, তাদের ফোনকল ও মেসেজের ব্যক্তিগত বিষয়ের অ্যাক্সেস পাওয়া এবং তাদের চলাফেরা ও বাড়ির ছবি তোলা ইত্যাদি কারণেই ইসরায়েলের বিমান বিশেষ করে ড্রোন দেশটির আকাশসীমায় প্রবেশ করে।

লেবাননের আকাশে ইসরায়েলি এই কর্মকাণ্ডের কারণে জনসাধারণের গোপনীয়তা লঙ্ঘন ছাড়াও ক্রমাগত বায়ুচাপ এবং শব্দে মানুষের শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতির ওপরও বিপজ্জনক প্রভাব ফেলেছে।

এয়ার প্রেসারের অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ২৬ জুলাই ২০১০ সালে ইসরায়েলি ফাইটার জেট একদিনে লেবাননের আকাশসীমায় ৫৬ বার প্রবেশ করে। অন্যদিকে ড্রোনের সাহায্যে ২ জুলাই ২০০৮ সালে একদিনে ৯২ বার অনুপ্রবেশ করে।