মেদভেদেভ: দুই বছর পর হয়তো ইউক্রেন থাকবে না

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ ধারণা প্রকাশ করে বলছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে হয়তো ইউক্রেনের অস্তিত্বই থাকবে না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে এমন মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ এই মিত্র। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট।

দিমিত্রি মেদভেদেভ

বর্তমানে দেশের নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মেদভেদেভ বলেন, একটি প্রতিবেদনে দেখেছি, পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে গ্যাস কেনার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন অন্যান্য দেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কিনবে এবং দুই বছরে সেই গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করবে। কিন্তু আগামী দুই বছর পর ইউক্রেনের অস্তিত্ব টিকে থাকবে, সেই নিশ্চয়তা কে দিয়েছে?

মেদভেদেভ আরো বলেন, ইউক্রেনের টিকে থাকা বা না থাকা অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো পার্থক্য করে না। কারণ তারা তাদের ‘রাশিয়াবিরোধী’ প্রকল্পে এতটাই বিনিয়োগ করেছে যে, অন্য সবকিছু তাদের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন

এদিকে, মেদভেদেভের এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অন্যতম শীর্ষ উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক। টুইটারে তিনি মেদভেদেভকে রুশ সাম্রাজ্যবাদের মূর্ত প্রতীক হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন।

মেদভেদেভকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীন ছোট একজন মানুষ, যিনি সর্বদা ইউক্রেনের দিকে বিষ ছিটাতে থাকেন। নিজেকে জাহির করার একমাত্র উপায় হিসাবে তিনি বিশ্বকে কেবল হুমকি দেন। ইউক্রেনের অস্তিত্বের প্রশ্নের জবাবে তার মন্তব্য, ইউক্রেন ছিল, আছে এবং থাকবে। বরং প্রশ্ন হল, দিমিত্রি মেদভেদেভ দুই বছর পর কোথায় থাকবেন?

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা দিমিত্রি মেদভেদেভ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সব সময়ই পুতিনের বিশেষ সামরিক অভিযানের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছেন। চার মাস ধরে চলা ইউক্রেনে সামরিক সাহায্য পাঠানো দেশগুলোরকে প্রায়ই তিনি সমালোচনায় বিদ্ধ করছেন।

চলতি মাসের শুরুতে তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেছিলেন, অলৌকিক কোনো কিছুর জন্য অপেক্ষা না করে বরং রাশিয়ার সাথে বিষয়টি সমাধানে একটি কূটনৈতিক পন্থা খোঁজার চেষ্টা করা উচিত।