শস্য রপ্তানিকে ‘অস্ত্র’ বানাচ্ছেন পুতিন, দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে বিশ্ব

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, ইউক্রেনের শস্য চালানে অবরোধ সৃষ্টি এবং নিজস্ব রপ্তানিতে বিধিনিষেধের মাধ্যমে বিশ্বকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলছে রাশিয়া। শস্য রপ্তানিকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছেন পুতিন। নিজস্ব অফিসিয়াল ব্লগে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জোসেপ বোরেল

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার ওপর যে কোনো অবাঞ্ছিত প্রভাব রোধ করতে জাতিসংঘ ও অংশীদারদের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত। 

বোরেল বলছেন, রাশিয়া সচেতনভাবেই রাজনৈতিক পছন্দ বাস্তবায়নে শস্য রপ্তানিকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে। যারাই রাশিয়ান আগ্রাসনের বিরোধিতা করছে তাদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খাদ্য সংকটকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন পুতিন।

বরিস জনসন

দীর্ঘ যুদ্ধে প্রস্তুতির আহ্বান বরিসের: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মিত্রদেরকে ইউক্রেনে দীর্ঘ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, কিয়েভের প্রতি টেকসই সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে। একইসাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার ঝুঁকি নিতে হবে।

দ্য সানডে টাইমসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে জনসন বলেন, ইউক্রেনের বিদেশি সমর্থকদের উচিত রাশিয়ার বিরুদ্ধে মনোভাব তীব্র করা। যাতে ইউক্রেন টিকে থাকতে পারে এবং কৌশলগত সহায়তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়। রাশিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রস্তাব দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা আয়োজন করার আহ্বান: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনকে ২০২৩ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের এটা আয়োজন করা উচিত। প্রতিযোগিতাটি যখন ব্রিটেনে আয়োজনের কথা হচ্ছে, তখনই এমন প্রস্তাব দিলেন বরিস জনসন।

কয়েক দশকের ঐতিহ্য অনুযায়ী, ইউরোভিশন প্রতিযোগিতার বিজয়ী দেশই পরের বছর এটির আয়োজন করে থাকে। সেই অনুযায়ী প্রতিযোগিতাটি ইউক্রেনে হওয়ার কথা। কারণ গতবারের চ্যাম্পিয়ন দেশ ছিল ইউক্রেন। তবে আয়োজকরা বলছেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রানার আপ ব্রিটেনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।

জনসন সাংবাদিকদের বলেন, অবশ্যই আমি পছন্দ করব প্রতিযোগিতা ব্রিটেনে হোক। কিন্তু বাস্তবতা হল ইউক্রেন যেহেতু চ্যাম্পিয়ন, তারা এটি পাওয়ার যোগ্য। আমি বিশ্বাস করি ইউক্রেন এটির আয়োজন করতে পারবে এবং পারা উচিত।