বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যাবে পাকিস্তান!

গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গিয়েছিল বাবর আজমের দল। কিছুদিন আগে এশিয়া কাপেও ফাইনালে হেরে যায় পাকিস্তান, সর্বশেষ ইংল্যান্ডের সাথেও সিরিজ হেরে যায় শেষ ম্যাচে। এভাবে বারবার হেরে যাওয়ায় চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানি স্পিডস্টার শোয়েব আখতার। বলেছেন, এভাবে খেললে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যেতে পারে পাকিস্তান। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

শোয়েব আখতার ও পাকিস্তান টিম

শোয়েব আখতার তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত এক ভিডিওতে পাকিস্তানের বেহাল দশার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, আমাদের মিডল অর্ডার এক দমই ভালো নয়। কোনোদিন ওপেনাররা ব্যর্থ হলে এই মিডল অর্ডার দায়িত্ব নিতে পারছে না। দলের ব্যাটিংয়ের অবস্থা একেবারে যাচ্ছেতাই।

বাবর আজমদের ব্যাটিংয়ের হাল দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত শোয়েব বলেন, এই রকম ছন্নছাড়া ব্যাটিং নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, এই পাকিস্তান দল প্রথম রাউন্ডেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে পারে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসছে অস্ট্রেলিয়ায়

ইংল্যান্ডের সাথে সর্বশেষ সিরিজে পাকিস্তান কয়েকটি ম্যাচ জিতলেও সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছে ব্যাটিং-ফিল্ডিং। বোলিং কোনোভাবে চলনসই হলেও বাকি দুটি বিভাগের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়া আর কারো মধ্যেই ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি। কেউ কেউ দুয়েকটি ম্যাচে জ্বলে উঠলেও সার্বিকভাবে পাকিস্তানি ব্যাটিংকে ব্যর্থই বলা যায়।

শোয়েব আখতার কেবল খেলোয়াড়দেরও ওপরই দোষ চাপাননি। তিনি দায়ী করেছেন মূল কোচ সাকলাইন মোস্তাক ও ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউনুসকেও। তাদের সমালোচনা করে শোয়েব বলেন, আমি অনেক আগেই তাদেরকে মিডল অর্ডার শক্তিশালী করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাতে তারা কর্ণপাত করেনি। ফলে পাকিস্তান ভালো ফল করতে পারছে না। এটা সত্যিই হতাশাজনক।

পাকিস্তানি স্পিডস্টার আরও বলেন, এখন থেকেই পরিস্থিতি না সামলালে উন্নতি করা কঠিন হয়ে যাবে। এ সময় তিনি সাকলাইন মোস্তাকের টি-টোয়োন্টি দলের কোচ হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, তিনি ২০০২ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। ফলে আমার মনে হয় না, টি-টোয়েন্টি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা আছে।

শোয়েব আখতার অবশ্য পাকিস্তানের বোলিং বিভাগ নিয়ে কিছুটা সন্তুষ্ট। বিশেষ করে হারিস রউফের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন তিনি।