খালেদা জিয়ার মুক্তির দুটি উপায়ের কথা জানালেন হানিফ

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দুইটি পথ খোলা আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। আইনি প্রক্রিয়া ব্যাতীত দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তির আর কোন উপায় নেই বলেও জানান তিনি।

শনিবার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

হানিফ বলেন, দেশের আইন অনুযায়ী একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মুক্তির বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে হবে। আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। আরেকটি উপায় আছে। অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী কোন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি যদি অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করলে তিনি মুক্তি পেতে পারেন। এই দুইটি ছাড়া আপাতত আর কোন উপায়ের কথা আমাদের জানা নেই।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের সংসদে যাওয়া, না যাওয়া নিয়ে খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি বা জামিনের সঙ্গে কোন সম্পৃক্ততা নেই। রাজনৈতিক কারণে তাকে কারাগারে রাখা হয়নি। তিনি আদালতের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবেই তিনি কারাগারে আছেন।

তিনি আরও বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি নির্ধারিত হবে। প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। তবে যদি আবেদন করা হয় সেক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবেচনা করতে পারেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মুক্তি বা জামিনের সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের সংসদে না যাওয়া সম্পৃক্ত হতে পারে না। নির্বাচিত সাংসদ হিসেবে তাদের নৈতিক দ্বায়িত্ব হচ্ছে সংসদে যাওয়া। যাদের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছেন সেই ভোটারদের প্রতি তাদের একটি দ্বায়বদ্ধতা রয়েছে। ভোটাররা নিশ্চয় কাউকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য ভোট দেননি। তারা এলাকার উন্নয়নের কথা বলা, এলাকার সমস্যা দূর করা এবং জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখার জন্যই ভোট দিয়ে একজন সাংসদ নির্বাচন করেন।

বিএনপির সংসদে যোগ দেওয়াকে বাজে সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাদেলা জিয়ার জামিনকে ইস্যু করে যারা সংসদে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের এই সিদ্ধান্ত মানুষের কাছে খুব বাজে উদাহরণ হয়ে থাকব। সংসদে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই ধরনের রাজনীতি কোনভাবেই কাম্য নয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।