কানের ব্যথা রোধে প্রাকৃতিক উপায়

বহুল প্রচলিত মারাত্মক সমস্যাগুলোর মধ্যে কানের সংক্রমণ একটি। কানের সবচেয়ে বেশি ক্ষতির কারণ ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। অন্তঃকর্ণে কানের সংক্রমণে শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগে।

সংক্রমণ যদি দীর্ঘদিনের হয় তবে কানের পর্দায় ছিদ্র হয়ে শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা নিতে হবে। এখানে কানের সংক্রমণ রোধে কিছু প্রাকৃতিক উপায় দেয়া হল।

• একটি হালকা গরম পানির বোতল অথবা হালকা গরম কাপড় সংক্রমিত কানের উপর বেশ কয়েকবার রাখুন। তাপ দ্রুত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ পদ্ধতি কানে অণুজীবের বৃদ্ধি রোধেও সাহায্য করবে।
• কানের সংক্রমণ রোধে লবণ বেশ কাজে দেয়। এটি হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। কড়াইয়ে সামান্য লবণ গরম করে তা পরিষ্কার সুতির কাপড় কিংবা মোজায় নিয়ে কাপড়টি সংক্রমিত কানের উপর দিয়ে রাখুন। কয়েকবার করে রাখুন। এটি করলে কান থেকে তরল পদার্থ বের হবে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
• সরিষা কিংবা তিলের তেলের সঙ্গে রসুনের দুটো কোয়া থেতো করে মিশিয়ে তেল বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত গরম করুন। তেলটি ঠাণ্ডা করা হয়ে হালকা গরম অবস্থায় ড্রোপার দিয়ে সংক্রমিত কানে চার ফোঁটা দিয়ে দিন। উপকার পেতে এটি দিনে ২-৩ বার করে করতে হবে।
• আমপাতার রস কানের সংক্রমণ রোধে শক্তিশালী নিরাময়। ২-৩ টি আম পাতা বেটে রস বের করে সামান্য গরম করে ৩-৪ ফোঁটা কানে ব্যবহার করলে কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখবেন কানের ব্যথা কমে গেছে। প্রতিদিন ২-৩ বার এটি ব্যবহার করতে হবে।
• আপেল সিডার ভিনেগারের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি কটনবাটের সাহায্যে কানের ভেতরে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট পর কান নিচের দিকে ধরুন যাতে মিশ্রণটি বেরিয়ে আসে। এ পদ্ধতিতে উপকার পাবেন।
• মায়ের দুধে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবডি থাকায় এটি কানের চিকিৎসায় বেশ কার্যকারী। এটি শুধু ব্যথা কমানোই নয় ২-৩ দিনের মধ্যে সংক্রমিত কানের নিরাময়েও ভূমিকা রাখে। ড্রপারের সাহায্যে কয়েক ঘণ্টা পরপর এই দুধ কানে দিলেই হবে।

প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর সাহায্যে ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলোতে কয়েক দিনের মধ্যে কানের সংক্রমণের উন্নতি না হলে, দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

লেবুর শরবতের উপকারীতা

হঠাৎ হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন

ঘামাচির প্রকারভেদ ও প্রতিকার