ফের বিএসএমএমইউতেই অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষা

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে অ্যান্টিবডি কিটের কার্যক্ষমতা বাড়িয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এখন আবারও এই কিটের তুলনামূলক এক্সটারনাল ভেলিডেশন (Comparative External Validation) পরীক্ষা করতে হবে। আর সেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই (বিএসএমএমইউ) করানো হবে।

ফের বিএসএমএমইউতেই অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষা

জানা গেছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের কিটের মান উন্নয়নের জন্য রি-এজেন্ট বা মালামাল আমদানির এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) পেয়েছে। বিদেশ থেকে মালামাল আসার পর আবারও বিএসএমএমইউতেই কিটের এক্সটারনাল ভেলিডেশন পরীক্ষা করানো হবে। এতে ২ মাসেরও বেশি সময় লাগবে এবং বাড়তি ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ হবে।

এ বিষয়ে অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবক দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, আগের বার বিএসএমএমইউতেই এক্সটারনাল ভেলিডেশন হয়েছিল। তাই এবারও সেখানে করানো হবে। কারণ তারা এই টেস্টটা ভালো জানে এবং তাদের কাছে স্যাম্পলও আছে।

এখন এটার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু রি-এজেন্ট দেশের বাইরে থেকে আনার কথা। আমদানির জন্য ওষুধ প্রশাসন থেকে এনওসিও পাওয়া গেছে। সেটা আসার পরই বিএসএমএমইউতে কাজ শুরু হবে।

এর আগে গত ১৬ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি অ্যান্টিবডি কিটের পরীক্ষা করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে রিপোর্ট জমা দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। সেখানে কিটের সেন্সেটিভিটি ৯০ শতাংশের নিচে এসেছিল। তাই তখন নিবন্ধনের অনুমতি দেয়া হয়নি।

গণস্বাস্থ্য কিট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিবুল্লাহ খন্দকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশীয় শিল্প এবং বিনিয়োগকে আকর্ষণ করতে। অথচ ওষুধ প্রশাসন এখন পর্যন্ত কিট নিয়ে তিনবার নিয়ম বদলিয়েছে। স্থানীয় শিল্পের বিকাশে বাধা দিতেই বার বার আইন পরিবর্তন করছে তারা।