জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আবেগঘন বক্তৃতা

ফিলিস্তিনে বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে ইসরায়েল। পাশাপাশি ফিলিস্তিন তথা গাজা-ভিত্তিক প্রতিরোধ সংগঠনগুলোও তাদের সাধ্যমতো ইসরায়েলি হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিনে ইসরায়েলের বর্বর হামলায় দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত এবং হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এই অবস্থায় গতকাল রোববার জরুরি বৈঠক ডাকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আবেগঘন বক্তৃতা

কাতারভিত্তিক আলজাজিরা নিউজ চ্যানেল তাদের অনলাইন ভার্সনে জানিয়েছে, ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে এক আবেগঘন বক্তৃতা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকি। এ সময় তিনি চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে চাপ সৃষ্টি করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

ইসরায়েলের প্রতি কয়েকটি দেশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো সমস্যা হলেই একজন বিদেশি নেতাকে দিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলায় ইসরায়েল। আর এর মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনি হত্যায় মেতে উঠে।

ইসরায়েলকে একটি ‘বর্ণবিদ্বেষী’ সরকার হিসেবে অভিহিত করে রিয়াদ আল-মালিকি এটির আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য এখনই ব্যবস্থা নিন, বর্ণবৈষম্য রক্ষা করতে নয়।

ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ইসরায়েল কি মনে করে তারা মুসলমানদের পবিত্র মাস রমজানে এবং পবিত্রতম রাত শবে কদরে তাদেরই পবিত্রতম আল-আকসা মসজিদে আগ্রাসন চালাবে, আর ফিলিস্তিনিরা চেয়ে চেয়ে দেখবে, নীরবে সহ্য করবে?

তিনি আরো বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর দখল করবে, আর তারা তা চেয়ে চেয়ে দেখবে- তেল আবিব কি সেটা মনে করে? ইসরায়েল কি মনে করছে ফিলিস্তিনিদের ভূখণ্ড জবর-দখল করে তারা যা খুশি তাই করবে, আর ফিলিস্তিনিরা তাদের সঙ্গে সহাবস্থান করবে? এমন কোনো মানুষ কি পৃথিবীতে আছে, যে এই বাস্তবতা মেনে নেবে?

উল্লেখ্য, বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রকাশ্য বিবৃতি দাবি করছে। কিন্তু এ বিষয়ে বার বার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপরও চাপ বাড়ছে।

তবে চীনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, সংকট সমাধানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে একটি বিবৃতি দিতে অন্য দেশগুলোকে রাজি করাতে আবারো চেষ্টা চালাবে বেইজিং।