যুদ্ধজাহাজ-গ্যাস প্ল্যাটফর্মে হামাসের সাবমেরিন ড্রোন হামলা

ইসরায়েলের একটি যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সেইসঙ্গে দেশটির একটি গ্যাস ফ্ল্যাটফর্মে সাবমেরিন ড্রোন দিয়ে হামলা করেছে তারা। আজ সোমবার এসব হামলা চালানো হয়।

গাজা থেকে আল-আলম টিভির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানায়, সাগরে ভাসমান ইসরায়েলি যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হামাস। হামলায় অংশ নেন সংগঠনটির সামরিক শাখা উজ্জাদিন আল কাসসাম ব্রিগেডের সেনারা।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কিছু বলা হয়নি।

এদিকে, মনুষ্যবিহীন সাবমেরিন দিয়ে সমুদ্রে ভাসমান ইসরায়েলি একটি গ্যাস প্লাটফর্মে হামলা চালিয়েছে হামাস। ৫০ কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম সাবমেরিনটির ভেতরে রয়েছে বিল্ট-ইন জিপিএস। আজ রোববার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, দূর নিয়ন্ত্রিত মনুষ্যবিহীন সাবমেরিন তৈরিতে সক্ষম হয়েছে হামাস। স্থানীয়ভাবে ও নিজস্ব প্রযুক্তিতে বানানো হয়েছে এটি।

সম্প্রতি আততায়ীর হামলায় নিহত হন আল কাসসাম ব্রিগেডেরে শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ ইজওয়ারি। পরে তার ভাই জানান, মনুষ্যবিহীন এই সাবমেরিন বানিয়েছেন ইজওয়ারি।

এদিকে, ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল ‘নাইন’ জানায়, চালকবিহীন অনেকগুলো সাবমেরিন রয়েছে হামাসের কাছে। এসব ড্রোন দিয়ে ভূমধ্যসাগরে থাকা তেল আবিবের যুদ্ধজাহাজ ও তেল-গ্যাস কেন্দ্রে হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া ইসরায়েলের উপ-শহর ‘হার্টসলিয়া’ এবং আশকেলান উপকূলের তেল-গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে কাসসাম ব্রিগেড।

গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান থেকে ফেলা শত শত বোমায় কমপক্ষে ১৯৭ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৮টি শিশু ও ৩৪ জন নারী রয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন আরো সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি, হতাহতদের অধিকাংশ বেসামরিক মানুষ।

অন্যদিকে, হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো প্রতিশোধমূলক হাজার হাজার রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০ ইসরায়েলি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়। তবে ফিলিস্তিনিদের এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি ইসরায়েল।