রুহানি: ইসরায়েলি তাণ্ডবে নীরব ছিল আরব বিশ্ব

শেষ হয়েছে ইসরায়েলের ১১ দিনের তাণ্ডব । গাজার বহু এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে অনেক বহুতল ভবন। তবে শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পাল্টা আক্রমণে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয় ইসরায়েল। বিষয়টি উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি তাণ্ডবে নীরব ছিল আরব বিশ্ব।

হাসান রুহানি

গতকাল শনিবার (২২ মে) তেহরানে এক বক্তৃতা দেওয়ার সময় এমন মন্তব্য করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশ ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় তারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা গেছে আরব বিশ্বের নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে।

পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলো ইসরায়েলকে অনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে। এবারের হামলার সময়ও ঘটেছে সেই একই ঘটনা। এর বিপরীতে আরব বিশ্বের কোনো দেশও যখন ইহুদীবাদী দেশটিকে সমর্থন দেয় কিংবা প্রতিবাদের বদলে নীরব থাকে, তখন সেটা হয় খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ওইসব আরব দেশের সাধারণ মানুষও শাসকদের এমন আচরণ মেনে নিতে পারে না।

১১ দিনের যুদ্ধে আপাতদৃষ্টিতে ফিলিস্তিনে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হলেও এই প্রথম হামাসের এমন প্রতিরোধের মুখে পড়লো ইসরায়েল। তার প্রমাণ, দেশটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে রীতিমতো বাধ্য হয়েছে। বিশ্লেষকরাও এটিকে অতি আত্মবিশ্বাসী আর অহংকারী ইসরায়েলের ‘পরাজয়’ হিসেবে দেখছেন।

হামাসের বৈদেশিক রাজনীতি বিষয়ক প্রধান খালেদ মিশাল বলেন, শক্তিশালী বিমান হামলায় এক চুলও পিছু হটেনি হামাস, প্রায় প্রত্যেকটা বিমান হামলার জবাবে রকেট ছোঁড়া হয়েছে। গাজা উপত্যকা আজ মুক্ত। আমি মনে করি, অসম্ভবকে সম্ভব করেছে ফিলিস্তিনি জনগণ।