ইসরায়েলের ব্যাপারে নীতি বদলাবে না কাতার

ফিলিস্তিন ইস্যুতে দখলদার ইসরায়েলের ব্যাপারে বিদ্যমান নীতি পরিবর্তন না করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আল-থানি আজ শুক্রবার এ কথা জানান।

কাতার ও ইসরায়েলের পতাকা

এদিন রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের আলোচনায় বসার মতো কোনো আভাস এখনো পাওয়া যায়নি।

তেল আবিবকে সতর্ক করে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনিদের সন্তুষ্ট করার মতো পদক্ষেপ নিতে তারা যতদিন ব্যর্থ হবে, ততদিন আমাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক কোনো দিন স্থাপন করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলছে তেল আবিবের। তা সত্ত্বেও আল-আকসা মসজিদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে তাদের।

মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান, ফাইল ছবি

পার্সটুডে জানায়, সদ্য সমাপ্ত গাজা যুদ্ধে অস্ত্রিবিরতি প্রতিষ্ঠায় মধ্যস্থতা করার কথা স্বীকার করেন মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আল-থানি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান সংকট সমাধানেও মধ্যস্থতা করতে আগ্রহের বিষয়টি ফের সামনে আনেন তিনি।

পরমাণু ইস্যুসহ নানা বিষয়ে ওয়াশিংটন-তেহরানের মধ্যে চলমান বিরোধ নিয়ে কাতারি মন্ত্রী বলেন, ‍একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে দু’পক্ষকেই উৎসাহিত করে যাচ্ছে তার দেশ।

প্রসঙ্গত, গত ১০ মে থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১২ দিনে ৬৯ শিশুসহ অন্তত ২৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি। এর বিপরীতে হামাসসহ অন্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর রকেট-ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৪ ইসরায়েলি নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হন।

ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পতাকা

উভয় পক্ষের মধ্যে গত ২১ মে থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এক সপ্তাহ পূর্ণ না হতেই পশ্চিম তীরের বেথেলহেমে ৫৬০টি অবৈধ বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে গাজা উপত্যকা এবং পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীর দখল করে তেল আবিব। বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেমসহ অবৈধ বসতিতে সাড়ে ৪ লাখের বেশি ইসরায়েলি বসবাস করছে।