কোয়াড আলোচনা, ইন্দো-মার্কিন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠকরণে জোর

আমেরিকা সফরে গিয়ে দিল্লি-মার্কিন সম্পর্ক আরো মজবুত করার বার্তা দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের সম্পর্ক গোটা বিশ্ব দেখেছে। তবে চলতি বছরের শুরুতেই মার্কিন মুলুকে ক্ষমতার পট পরিবর্তনে তাতে খানিকটা ‘ছেদ’ পড়ে। আর তা মেরামতে প্রথমবারের মতো ভারতের কোনো শীর্ষ কূটনৈতিক আমেরিকা সফর করলেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (ডানে)

ভারতের গণমাধ্যম বলছে, সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ছাড়াও দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শংকর। এ সময় করোনা মোকাবেলায় যৌথভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদন থেকে শুরু করে কোয়াড জোট সংক্রান্ত একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে কোয়াড নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এই জোটে রয়েছে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। এই জোটকে ‘চীন বিরোধী’ আখ্যা দিয়েছে বেইজিং। চীনা আধিপত্য ঠেকাতেই এই জোট করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।

খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার পৃথকভাবে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান, হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি মিকস, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টর অ্যাভ্রিল হেইনসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর পর গতকাল শুক্রবার ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জয়শংকর।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত কোয়াড

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বৈঠকে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, কোয়াড জোট, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং আফগানিস্তান ও মিয়ানমার ইস্যুতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে মঙ্গলবারই জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শংকর। সন্ত্রাসবাদ, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তারা। এ ছাড়া বৈঠকে চলমান টিকা কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়।