তবুও ইসরায়েলে দূতাবাস স্থাপন করলো আমিরাত

সম্প্রতি আল-আকসা মসজিদে নিরস্ত্র মুসল্লিদের ওপর হামলা এবং গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলার ঘটনায় যখন মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা মুসলিম বিশ্ব দখলদারদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে, তখন দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দখলদারদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করলো সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ইসরায়েলে দূতাবাস স্থাপন করলো আমিরাত

জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম এ প্রভাবশালী দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার দখলদার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে দূতাবাস উদ্বোধন করেছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২৬ বছর পর প্রথম কোনো আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলো। এর আগে জর্ডান ১৯৯৬ সালে ওয়াদি চুক্তির আওতায় ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছিল।

প্রসঙ্গত, দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য বিগত প্রায় ৮ মাস ধরেই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর অংশ হিসেবে গত বছরের অক্টোবরে প্রথম সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করে আমিরাত। এর পর চলতি বছরের ১ মার্চ মোহাম্মদ খাজাকে তেল আবিবে রাষ্ট্রদূত করে পাঠায় আমিরাত। আর সর্বশেষ তেল আবিবে দূতাবাস উদ্বোধন করলো আবুধাবি।

ইসরায়েলে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মাদ আল খাজা

পার্সটুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এমন সময় ইসরায়েলে দূতাবাস স্থাপন করলো যখন সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে, গাজা যুদ্ধের পর এ অঞ্চলে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক পরিবর্তন ঘটছে। কারণ সৌদি আরবও শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের নিন্দা করেছে এবং বাতিল করেছে তেল আবিবকে দেওয়া আকাশসীমা ব্যবহারের সুযোগ।

তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের এ মুসলিম দেশটি এমন সময় এই উদ্যোগ নিলো যখন খুব শিগগিরই ইসরায়েলে ক্ষমতার পালাবদল ঘটতে যাচ্ছে। সেখানে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। খুব শিগগিরই ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।