বিরোধীদের চুক্তি, নেতানিয়াহুর বিদায় নিশ্চিত

রাজনৈতিকভাবে বেশ কিছুদিন অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে ইসরায়েল। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভাগ্য ঝুলে ছিল বিরোধীদের জোট করা-না করার ওপর। নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, বিরোধীরা জোট করলে ক্ষমতাচ্যুত হবেন দীর্ঘ এক যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা দেশটির এই প্রধানমন্ত্রী। অবশেষে তাই হয়েছে, গঠিত হয়েছে ৮ দলের একটি জোট।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

প্রধান বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদের নেতেৃত্বে এই জোট গঠিত হয়। বিষয়টি ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। এবার বিধি অনুযায়ী তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবেন। বিরোধীদলগুলোর চুক্তি অনুযায়ী, জোটের নেতৃত্বে থাকবে ইয়ামিনা পার্টি। এই পার্টির প্রধান নাফতালি বেনেত প্রথম ২ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর দায়িত্ব নেবেন ইয়ার লাপিদ।

সরকার গঠনের লক্ষ্যে জোটবদ্ধ হওয়া দলগুলো হলো- নাফতালি বেনেতের নেতৃত্বাধীন ইয়ামিনা পার্টি, বেনি গান্তজের কাহোল লাভান, ইয়ার লাপিদের ইয়েশ আতিদ, নিতজান হরোউইটস-এর মেরেটজ। আভিগদোর রিয়েবারমানের ইসরায়েল বেইতেইনু, মেরাভ মিশেইলির লেবর, গিডেউন সা’রের নিউ হোপ। মনসুর আব্বাসের মনসুর আব্বাস রাম (আরব ইসলামিস্ট)।

ইয়ার লাপিদ

ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেট-এর মোট আসন ১২০টি। সংবিধান অনুযায়ী, কোনো দল বা জোটকে সরকার গঠন করতে হলে ৬১টি আসনের প্রয়োজন পড়ে। এতগুলো আসন না পাওয়ায় এর আগে কয়েকবার নির্বাচন হলেও সরকার গঠন নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এবারও তাই হয়েছে। তাই বিরোধীরা যেন জোট গঠন করতে সফল না হন, সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।

তবে জোট গঠন হলেও কতদিন তা টিকে থাকে, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। কারণ এর আগে একাধিকবার জোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হলেও সেই জোট ভেঙে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এর ফলে গত ২ বছরে ৪টি নির্বাচন হয়েছে ইসরায়েলে।