ভারতে তীব্র দাবদাহে অস্থির জীবন ও পরিবেশ। তাপে পুড়ে অঙ্গার হচ্ছে মাটি। বাতাসে আগুনের ফুলকি অনুভূত হচ্ছে। অতি গরমে মানুষই যেখানে অসহায়, সেখানে পাখিরা কী করে বাঁচে! এমন পরিস্থিতিতে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের তীব্র তাপ সহ্য করতে না পেরে আকাশ থেকে আহত হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ছে ছোট-বড় পাখি। কিছু পাখি মারা যাচ্ছে পানিশূন্য হয়ে, আহত হচ্ছে অনেক। পাখিদের দ্রুত সেবা দিয়ে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারী পশুচিকিৎসকরা। রয়টার্স।
789101213অতি গরমে মানুষই যেখানে অসহায়, সেখানে পাখিরা কী করে বাঁচে!
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রীষ্মের পূর্ববর্তী মাসগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার বড় অংশ শুকিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রায়ই আগুনের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করছেন। গুজরাটের গড় তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। রাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদে পানির উৎসগুলো শুকিয়ে গেছে। এ অবস্থায় রাজ্যটিতে ক্লান্ত ও পানিশূন্য হয়ে হঠাৎ-হঠাৎ আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে উড়ন্ত পাখি।
‘জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর’-স্বামী বিবেকানন্দের এই উক্তিকে উপজীব্য করেই আহমেদাবাদে পরিচালিত হয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জীবদয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের একটি পশু হাসপাতাল। এই হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহে হাজার হাজার পাখির চিকিৎসা করেছেন তারা। প্রতিদিনই কয়েক ডজন উড়ন্ত পাখি সুতোকাটা ঘুড়ির মতো আছড়ে পড়েছে মাটিতে।
ট্রাস্টের একজন মুখপাত্র মনোজ ভাবসার জানান, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এ বছর পাখিদের এই আকাশ থেকে ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়েছে ১০ শতাংশ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পাখিদের উদ্ধারে কাজ করে চলেছেন মনোজ।
গুজরাটের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হিটস্ট্রোক এবং অন্যান্য তাপ-সম্পর্কিত রোগের জন্য বিশেষ ওয়ার্ড স্থাপনের জন্য হাসপাতালগুলোতে পরামর্শ জারি করেছেন। গত বুধবার ট্রাস্ট পরিচালিত হাসপাতালের পশু চিকিৎসকদের পাখিদের মাল্টি-ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ানো এবং সিরিঞ্জ ব্যবহার করে তাদের মুখে পানি দিতে দেখা গেছে।