আবহাওয়ার পরিবর্তন বা শীতের শুরুতে শিশুদের হাঁপানির প্রকোপ বেড়ে যায়। এ সময় শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা বা হাঁপানি যেটাই বলুন না কেন, এটি শিশুদের সর্বাধিক দৃশ্যমান শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা। হাঁপানি যে কোনো বয়সেই হতে পারে। বড়রা নিজেদের সমস্যা বুঝতে বা বলতে পারে, কিন্তু শিশুদের বেলায় তা হয় না। কী করে বুঝবেন সোনামণির হাঁপানি ?

childs asthma

অ্যাজমা/ হাঁপানি একটি শিশুর জীবনের গুনগত মানের ওপর প্রভাব ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক থেকে দেড় বছর বয়সী শিশুদের হাঁপানি রোগের লক্ষণ সহজে বোঝা যায় না। কারণ বাচ্চাদের শ্বাসনালী সরু থাকায় শ্বাস নেয়ার সময় আওয়াজ হয়। তাই হাঁপানির লক্ষণ ধরা পড়ে না। কিন্তু দেড় বছর পার হলে সহজেই হাঁপানির লক্ষণ ধরা পড়ে।

হাঁপানি রোগের শুরু এবং লক্ষণগুলো বেশ জটিল। বংশের ধারা, পরিবেশের নানা উপাদানের মাধ্যমে এর উজ্জীবন ঘটে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগের সংজ্ঞা নিরূপণ করা কঠিন হয়ে পড়ে কারণ সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি রোগে শিশু ঘন ঘন আক্রান্ত হলে হাঁপানির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কোন শিশু যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্টজনিত অস্বাভাবিক আওয়াজ করে, যা সবসময় অথবা কিছুদিন পর পর শোনা যায়, সেই সাথে সচরাচর কাশিতে ভোগে তাহলে শিশুটি হাঁপানিতে ভুগছে বলে ধরে নিতে হবে।

হাঁপানি আক্রান্ত বাচ্চা প্রধানত শ্বাসকষ্টে ভুগে থাকে। চিকিৎসা বা কখনও কখনও নিজে নিজেই তা সেরে উঠে। ছোট থেকেই হাঁপানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। 

শিশুর অল্প বয়সে অ্যালার্জিজনিত বা এটাপিক হাঁপানি হতে দেখা যায়। ধোঁয়া, ঘরের ধুলাবালি, পশুর লোম, পাখির পালক, ঘাস এবং ফুলের রেণু, কিছু কিছু খাবার বিশেষ করে আইসক্রিম এবং ঠাণ্ডা জাতীয় খাবার, এসপিরিন জাতীয় ওষুধে এটাপিক হাঁপানির উৎপত্তি ঘটে। অ্যালার্জি জাতীয় হাঁপানির প্রকোপ যে কোন সময়েই হতে পারে এবং সোডিয়াম ক্রোমোগ্লাইকেট জাতীয় ওষুধ প্রয়োগে এ ধরনের হাঁপানিতে বাচ্চাদের অনেক সময় রোগমুক্ত করা সম্ভব হয়।

হাঁপানির কিছু লক্ষণ, যেগুলো দেখে বুঝবেন আপনার বাবুর হাঁপানি হয়েছে কি না

  • হাঁপানির একটি লক্ষণ ঠাণ্ডা-সর্দি ছাড়া কাশি। ঠাণ্ডা-সর্দি হলে কাশি বেড়ে যাওয়া। এমনকি ভাল হয়ে যাবার পরও কাশি থাকে।
  • বাচ্চা নিঃশ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
  • নিঃশ্বাস নেয়ার সময় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বুক খুব জোরে জোরে ওঠানামা করছে, স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশিই পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
  • হাঁপানি আক্রান্ত বাচ্চারা বেশিরভাগ সময়ই ক্লান্ত থাকে। বাবা-মায়েরা খুব সহজেই লক্ষণগুলো ধরতে পারেন।
  • বুকে আঁটসাঁট, দম বন্ধভাব অর্থাৎ ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা। চিত হয়ে শুয়ে থাকতে না পারলে, ঘুম থেকে উঠে বসে থাকতে হলে, সর্দি লাগার পর শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে।

সাধারণত রাতে এসব উপসর্গ বেড়ে যায়। উপরোক্ত লক্ষণগুলো শিশুর মধ্যে দেখতে পেলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

দূরে থাকুক সর্দি- জ্বর

অ্যালার্জি প্রতিরোধ করবে যেসব খাবার

একেবারেই সেরে যাবে শ্বাসকষ্ট!

চা পান শিশুর জন্য কতোটুকু নিরাপদ

হাঁপানি প্রতিরোধ করে যেসব খাবার

Get the latest news on lifestyle, health, food, and more from our team of expert writers. From fitness tips and nutrition advice to travel guides and entertainment news, we cover the topics that matter most to you. Whether you're looking to improve your health, broaden your horizons, or just stay up-to-date with the latest trends, you'll find everything you need here.